২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে ধনী দেশ : আমু

0
101
Print Friendly, PDF & Email

নতুন অর্জিত সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ শুধু উন্নত দেশ নয়, বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন, তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজয় করে দেশের জনগণকে আরেকটি বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। পাকিস্তান আমল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে যা কিছু অর্জিত হয়েছে, তার সবই আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শিল্পমন্ত্রী ৪৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশা প্রকাশ করেন। রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ সেমিনারের আয়োজন করে।

শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন ও সুষেণ চন্দ্র দাস, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মুনসুর আলী সিকদার আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তিনির্ভর সমাজের গোড়াপত্তন করেন। তিনি জনগণের মধ্যে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে টেলিভিশন কেন্দ্রকে তৎকালীন ডিআইটি ভবন থেকে রামপুরায় স্থানান্তর করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন খাতে অর্জিত অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি ১০ কোটিরও বেশি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। শতকরা ১০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) শতকরা ২ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটানোর সুযোগ রয়েছে। তারা তৃণমূল পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড সুবিধা সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান করার পরামর্শ দেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টেলিকমিউনিকেশন একটি উদীয়মান শিল্প খাত। সব মিলিয়ে এ শিল্প খাত থেকে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এ শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের সুযোগ রয়েছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।

শেয়ার করুন