বৃহস্পতিবার সকালে বনানী কবরস্থানে জিল্লুর রহমানের পরিবার, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পাবলিক লাইব্রেরিতেও আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা।
ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য জিল্লুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকতেন চাচা, আওয়ামী লীগে তার অবস্থান ছিল অভিভাবকের মতোই।
শুধু আওয়ামী লীগই নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে অভিভাবক মানতে কারোই আপত্তি ছিল না। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে তার ডাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাড়া দেয়া তারই নজির ছিল।
দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের নজিরও ছিলেন জিল্লুর রহমান। নিজের দুঃসময় উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন এই অশীতিপর নেতা।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে যান জিল্লুর রহমানকেই।
জিল্লুর রহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর সব সময় ওই আসন থেকে নির্বাচন করে আসছিলেন তিনি।
ভৈরব থেকে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিল্লুর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ওই আসনে এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন ছেলে নাজমুল হাসান।
জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ আসর গুলশানের পারিবারিক বাসভবনে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
গ্রামের বাড়িতেও মিলাদ ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।