গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলে চাষিদের সরবরাহ করা আখের পাওনা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ১৭ কোটি টাকা বকেয়া রেখে গত সোমবার আখ মাড়াই শেষ করা হয়েছে।
রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক বলেন, গত তিনটি মৌসুমে উৎপাদিত প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার চিনি অবিক্রীত রয়েছে। ফলে দেনার পরিমাণ বেড়েছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় কৃষকদের পাওনার ১৫ কোটি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার দুই কোটি টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩-১৪ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়। এ মৌসুমে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। এ ছাড়া ২০১১-১২ মৌসুমে ৫০৬ এবং ২০১২-১৩ মৌসুমে দুই হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়। তিনটি মৌসুমে মোট আট হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রীত থাকে, যার মূল্য ৩৪ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সূত্র আরও জানায়, চিনি বিক্রি করে পাওনা পরিশোধের কথা। কিন্তু বর্তমানে বাজারে চাহিদা কম হওয়ায় চিনি বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে ১৭ কোটি টাকা বকেয়া এখনো পরিশোধ সম্ভব হয়নি।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পাওনা টাকা পরিশোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।