অভিযোগের স্তূপ নির্বিকার ইসি

0
180
Print Friendly, PDF & Email

প্রতিটি ধাপের নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনে আসছে শ’ শ’ অভিযোগ। যে সব উপজেলায় সহিংসতার আশঙ্কা করে অভিযোগ আসে ইসিতে সেসব এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। অথচ কোন অভিযোগই আমলে নিচ্ছে না ইসি। দিনে দিনে উপজেলা নির্বাচন ক্ষমতার মহড়ায় সহিংস হয়ে উঠলেও কমিশনের অবস্থান অনেকটাই রহস্যজনক। ২৩শে মার্চ চতুর্থ ধাপে ৯২ উপজেলার নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীকে পুলিশি হয়রানি, প্রচারণায় বাধা, কেন্দ্র দখলসহ নানা রকম অভিযোগ আসছে ইসিতে। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে সহিংসতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এলাকা বিবেচনায় এ ধাপের নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। বুধবার অভিযোগ আসে চরমপন্থি এলাকা হিসেবে বিবেচিত  যশোর সদর উপজেলা থেকে। অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহম্মদ গোলাম রেজার সমর্থিত কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে তার সমর্থিত এজেন্ট ও কর্মীদের হুমকি, হামলা ও মারপিটের অভিযোগ করেছেন। পুলিশও সরকার দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে কমিশনে আবেদন করেন তিনি। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহম্মদ রুহুল আমীন দুলাল কেন্দ্র দখল, জালভোট ও সহিংসতার আশঙ্কা করে মঠবাড়িয়া উপজেলার ৩৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ  উল্লেখ করে এসব কেন্দ্রে অধিক সংখ্যক সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েনের আবেদন করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বিএনপি সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন তাকে এবং তার নেতাকর্মীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ অবস্থায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির সহায়তা চান এই প্রার্থী। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে ঝিনাইদহের হরিণাকু- উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রাথীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলা, তা-ব ও ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আর এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নির্লিপ্ত। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী আহমেদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়। এ রকম অভিযোগ প্রতিদিনই আসছে ইসিতে। নির্বাচনী সহিংসতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বুধবার নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ মানবজমিনকে বলেন, আগের ধাপের নির্বাচনের সহিংসতার প্রভাব দুই দলকেই সামনের নির্বাচনগুলোতে সহিংসতা ঘটাতে উৎসাহিত করছে। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে সাহিংসতা রোধে প্রয়োজন অনুয়ায়ী বেশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করতে রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু হাফিজ বলেন, উপজেলা নির্বাচন যেহেতু নির্দলীয় নির্বাচন, তাই বিএনপির কোন অভিযোগ নেয়া হবে না। তবে প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা  হলে বিষয়টি দেখা হবে। এদিকে সহিংসতার কারণে স্থগিত হওয়া ৩য় ধাপের গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নির্বাচন  আগামী  ৩১শে মার্চ  হবে। গত ১৫ই মার্চ ৩য় ধাপে শ্রীপুর উপজেলার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সহিংসতার কারণে হতো ১২ই মার্চ শ্রীপুরের নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

শেয়ার করুন