মদের দোকান থেকে ফেরার পথে কুকুরটি পেয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন বাবা। আলাস্কান মালামুত প্রজাতির সেই কুকুরই তার ছয়দিন বয়সী বাচ্চাকে খেয়ে ফেলেছ। খবর: ডেইলি মেইল’র।
ইংল্যান্ডের সাউথ ওয়ালেসের পন্টিবেরেম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছয়দিন বয়সী শিশু এলিজা মার্থার অবশিষ্টাংশ দেখতে পান তার মা শ্যারন জন। পৃথিবীতে এমন কষ্টকর দৃশ্য মনে হয় মায়ের কাছে আর নেই!
মায়ের সামনে তার বাচ্চা মেয়ের কুকুরে খাওয়া দেহ- সেটা ভাবলেই হৃদয় ভেঙে যায়। কিন্তু কুকুরপ্রিয় এই দম্পতিদের জীবনে এই মর্মান্তিক ঘটনাই ঘটেছে। জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক দৃশ্য তাদের হজম করতে হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক মাস ধরে এই পরিবারের সঙ্গে ওই কুকুরটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। ছোট্ট মেয়েটির বাবা প্যাট্রিক ম্যুলান একদিন রাতে বার থেকে ফেরার সময় কুকুরটি নিয়ে এসেছিলেন। তারপর থেকে বাসাতেই ছিল। তাদের আরও কয়েকটি পোষা কুকুর আছে।
পারিবারিক বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, ওই কুকুরটির নাম নিশা এবং এর আগের মালিক একে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। প্যাট্রিক ম্যুলান দয়াবশত এটিকে বাসায় নিয়ে আসেন। কে জানতো এই কুকুরটিই তাদের জীবনের সবচেয়ে করুণ ট্র্যাজেডির কারণ হবে!
ঘটনার দিন দেখা যায়, মেয়েটির মা রাস্তায় নেমে জোরে জোরে চিৎকার করছেন, ‘কুকুর আমার মেয়ের মাথা খেয়ে ফেলেছে!’
প্রতিবেশীরা জানান, পুলিশ মেয়েটির অবশিষ্টাংশ উদ্ধার এবং কুকুরটিকে আটক করেছে।
জন্মের পর তিনদিন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ছিল শিশুটি। তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। আর বাসায় তিনদিনের মাথায় কুকুরে তার মৃত্যু হলো।
প্রতিবেদনটি দেখে জন সিমনস নামের এক পাঠক মতামত দেন, ‘পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনে কুকুর ঈর্ষান্বিত হয়। এ রকম ট্র্যাজিক পরিণতি এড়াতে মানুষের সতর্ক হওয়া উচিত।’