উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গতকাল শনিবার ৮১টি উপজেলায় নির্বাচন হয়। এর মধ্যে গতকাল রাত একটা পর্যন্ত ৭৭টি উপজেলার ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ৩৭ জন ও বিএনপি-সমর্থিত ২৬ জন জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত সাতজন, আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি—জেএসএসের (সন্তু লারমা) সমর্থিত দুজন, এলডিপি-সমর্থিত একজন ও বিএনপির একজন বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।
রাত একটা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষ না হওয়ায় নওগাঁর মান্দা উপজেলায় চূড়ান্ত ফল পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, বরিশালের হিজলা ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় ফল পাওয়া যায়নি।
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন:
কিশোরগঞ্জ: সদরে বিএনপির শরিফুল ইসলাম, কুলিয়ারচরে বিএনপির নুরুল মিল্লাত ও হোসেনপুরে আওয়ামী লীগের আইয়ুব আলী।
কুড়িগ্রাম: সদরে আওয়ামী লীগের পনির উদ্দিন আহমেদ, রৌমারীতে একই দলের মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ও চিলমারীতে শওকত আলী বীর বিক্রম।
কুমিল্লা: চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের আবদুস সোবহান ভূইয়া, নাঙ্গলকোটে একই দলের শামসুদ্দীন ও ব্রাহ্মণপাড়ায় মো. জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী এবং হোমনায় বিএনপির আজিজুর রহমান মোল্লা, তিতাসে একই দলের মো. সালাউদ্দিন সরকার ও বুড়িচংয়ে এ টি এম মিজানুর রহমান।
খুলনা: পাইকগাছায় বিএনপির স ম বাবর আলী।
গাইবান্ধা: সদরে জামায়াতের আবদুল করিম ও সাদুল্যাপুরে একই দলের সাইদুর রহমান।
গোপালগঞ্জ: টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গাজী গোলাম মোস্তাফা।
চট্টগ্রাম: চন্দনাইশে এলডিপির মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী ও সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের এস এম আল মামুন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সদরে জামায়াতের মো. মোখলেসুর রহমান ও শিবগঞ্জে একই দলের মো. কেরামত আলী এবং ভোলাহাটে বিএনপির মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
চাঁদপুর: আওয়ামী লীগের মো. শাহজাহান।
চুয়াডাঙ্গা: দামুড়হুদায় জামায়াতে ইসলামীর আজিজুর রহমান।
জয়পুরহাট: আক্কেলপুরে বিএনপির কামরুজ্জামান।
জামালপুর: দেওয়ানগঞ্জে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ।
টাঙ্গাইল: দেলদুয়ারে বিএনপির এস এম ফেরদৌস আহমেদ ও ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগের মীর ফারুক আহমেদ।
ঠাকুরগাঁও: হরিপুরে বিএনপির নুরুল ইসলাম।
দিনাজপুর: সদরে আওয়ামী লীগের মো. ফরিদুল ইসলাম ও নবাবগঞ্জে জামায়াতের নূরে আলম সিদ্দিকী।
নড়াইল: লোহাগড়ায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ ফয়জুল আমির।
নীলফামারী: সদরে আওয়ামী লীগের আবুজার রহমান।
নওগাঁ: পোরশায় আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম ও ধামইরহাটে জামায়াতের মো. মঈন উদ্দীন।
নেত্রকোনা: সদরে আওয়ামী লীগের এস এম কামরুল হাসান ও মোহনগঞ্জে বিএনপির আ খ ম শফিকুল হক।
নোয়াখালী: সেনবাগে বিএনপির আবুল কালাম আজাদ।
পিরোজপুর: নেছারাবাদে বিএনপির অহিদুজ্জামান।
ফরিদপুর: মধুখালীতে বিএনপির মো. আজিজুর রহমান মোল্লা, চর ভদ্রাসনে বিএনপির বিদ্রোহী এ বি এম বাদল আমিন, আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের এম এম জালাল উদ্দীন, সদরে একই দলের খোন্দকার মোহতেসাম হোসেন ও সদরপুরে কাজী শফিকুর রহমান এবং ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. শাহাদত হোসেন।
ফেনী: দাগনভূঞায় আওয়ামী লীগের দিদারুল কবির।
বরিশাল: বাবুগঞ্জে আওয়ামী লীগের সরদার খালিদ হোসেন ও মুলাদীতে একই দলের তারিকুল হাসান খান।
বাগেরহাট: সদরে আওয়ামী লীগের খান মুজিবর রহমান, মোরেলগঞ্জে একই দলের মো. শাহ ই আলম, শরণখোলায় কামাল উদ্দীন, রামপালে শেখ মো. আবু সাইদ ও মংলায় আবু তাহের হাওলাদার।
বান্দরবান: আলীকদমে বিএনপির আবুল কালাম ও সদরে একই দলের আবদুল কুদ্দুস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নবীনগরে বিএনপির শফিকুল ইসলাম।
ভোলা: সদরে আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন।
ময়মনসিংহ: ফুলপুরে বিএনপির আবুল বাশার আকন্দ, ফুলবাড়িয়ায় একই দলের মো. আজিজুর রহমান ও গৌরীপুরে তায়েবুর রহমান এবং ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মজনু মিয়া।
মানিকগঞ্জ: ঘিওরে বিএনপির খন্দকার লিয়াকত হোসেন।
মৌলভীবাজার: বড়লেখায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম।
রাঙামাটি: কাউখালীতে আওয়ামী লীগের এস এম চৌধুরী, বরকলে জেএসএসের (সন্তু লারমা) মনি চাকমা ও বাঘাইছড়িতে একই সংগঠনের বড় ঋষি চাকমা।
রাজশাহী: গোদাগাড়ীতে বিএনপির ইসহাক আলী, চারঘাটে বিএনপির আবু সাইদ চাঁদ ও দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম।
লক্ষ্মীপুর: কমলনগরে বিএনপির সৈয়দ শামসুল আলম।
লালমনিরহাট: আদিতমারীতে বিএনপির আইয়ুব আলী।
শরীয়তপুর: নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের এ কে এম ইসমাইল হক ও সদরে একই দলের আবুল হাশেম তপাদার
শেরপুর: শ্রীবর্দীতে আওয়ামী লীগের মো. আশরাফ হোসেন।
সিলেট: দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আবু জাহিদ।
সুনামগঞ্জ: জামালগঞ্জে বিএনপির শামসুল আলম।
সাতক্ষীরা: কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের শেখ ওয়াহেদুজ্জামান।
যশোর: মনিরামপুরে আওয়ামী লীগের আমজাদ হোসেন।