নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, কারচুপি, সহিংসতা এবং অগ্রহণযোগ্যতার অবসান না হওয়া পর্যত্ম বাংলাদেশে কোনো দিনই শাত্ম আসবে না। অশাত্মর দাবানলে আমরা চিরদিন দগ্ধ হতে থাকব এবং এর পরিণতি খুবই ভয়াবহ। এই অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশে নাটকীয় অবস্থা বিরাজ করতে পারে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার শনিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি হলেও অধিকাংশ জায়গায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় প্রথমবারের চেয়ে বেশি হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় দফা প্রথম ও দ্বিতীয় দফাকে হার মানিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় একজনের এবং তৃতীয় দফায় তিনজনের প্রাণহানি হয়। পক্ষাšত্মরে ২০০৮ সালের আগস্ট হতে ২০১৩ পর্যšত্ম জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রাণহানির ঘটনার সাথে সাথে সংবাদকর্মীদের ওপরে কিছুটা চড়াও হতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, জালভোট এবং ভোটার তালিকা রোধের জন্য অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা করার পরও কীভাবে জালভোট হয় এটা আমার বোধগম্য নয়? দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচন কমিশনের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছেন, সেই সব কর্মকর্তা এবং কোনো ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনে জালভোটে সহায়তা করছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের ভাষায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন কানে তুলা, পিঠে কুলা এবং চোখে ধুলা দিয়ে বসে আছে। তাদের ভাবখানা এরকম যে, তারা কোনো খারাপ দেখে না, খারাপ বলেও না।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ নাগরিক, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমসহ সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচন বোধের মধ্যে আনতে এবং অগ্রহণযোগ্যতার নির্বাচন বন্ধ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তা-না হলে এর ভয়াবহ পরিণতি কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়।