প্রথম দুই দফা উপজেলা নির্বাচনে শাসক দল আওয়ামী লীগ তুলনামূলক খারাপ করলেও তৃতীয় দফায় এসে ভালো করেছেন আওয়ামী লীগ।শনিবার সারাদেশে ৪১ জেলায় ৮১ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৪১টি আসনে জয়লাভ করে।এ দফায় বিএনপি ২৭টি এবং জামায়াত৮টি, এলডিপি একটি, এবং জেএসএস’র দুইজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
প্রথম দুই দফার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করে ৯৮ উপজেলায়। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয় পায় ৮২ উপজেলায় ও জামায়াত পায় ২০ উপজেলায়। তাছাড়া জাতীয় পার্টি পায় ২টি এবং অন্যান্যরা পায় ৪টি আসন পায়।
যেসব উপজেলায় আওয়ামী লীগ জিতেছে সেখানে কম ব্যবধানেই জিতেছে। কিন্তু হেরেছে বেশি ব্যবধানে। এমনকি যেসব এলাকা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে ধরা হচ্ছিল সেখানেও আওয়ামী লীগের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। এজন্য ওইসব স্থানে দলীয় সিদ্ধান্তে যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তাকে ভোট দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কথা ধরা যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রার্থী পাস করতে পারেনি। পাস করেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এখানে হেরেছে প্রায় ২০ হাজার ভোটে। এখানে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি।
একইভাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, ময়মনসিংহের ধুবাড়িয়া, কুড়িগ্রামের রৌমারিসহ আরও অনেক স্থানেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরেছে দল মনোনীত প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নিজের ঘর কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলায়ও বিএনপির কাছে হেরেছে আওয়ামী লীগ। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ আশরাফের ভাইপো।
কিন্তু গত দুই ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির চিত্র আওয়ামী লীগের উল্টো। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিএনপি থেকে জিতেছে খুবই কম।