পাঁচটি বিতরণী সংস্থা ও কোম্পানি গড়ে বিদ্যুতের মূল্য ১৫ দশমিক ২৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করলে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি গড়ে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেযাযাদি রিপোর্ট বিদ্যুতের মূল্য বাড়াতে অযৌক্তিক ও হাস্যকর সব যুক্তি খাঁড়া করেছে ৫টি বিতরণী সংস্থা ও কোম্পানি। মূল্য বাড়ানোর জন্য যে সব কারণ কোম্পানিগুলো দাঁড় করিয়েছে, তা অনেকটাই অবাস্তব। প্রস্তাবিত বর্ধিত মূল্য বণ্টনেও রয়েছে নানা বৈষম্য। গরিবের পকেট কেটে ধনীর পকেট ভরতে চাইছে কোম্পানিগুলো। ৫টি বিতরণী সংস্থা ও কোম্পানি গড়ে বিদ্যুতের মূল্য ১৫ দশমিক ২৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করলে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি গড়ে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার কার্যালয়ে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ওপর কোম্পানিগুলোর দেয়া প্রস্তাবের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা মূল্য বাড়ানোর নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। অন্যদিকে মূল্য বাড়ানোর বিরোধিতা করে ভোক্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নানা অযৌক্তিক দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
প্রথম দিন গত মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পিডিবি বিদ্যুতের মূল্য ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। প্রথমেই বলা হয়, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে মানুষের আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা হবে। অপচয় হ্রাস পাবে।
সংস্থাটির দাবি বর্তমানে বাজারের অন্যান্য নিত্যপণ্যের তুলনায় বিদ্যুতের মূল্য কম হওয়ায় অপচয় হচ্ছে। সে জন্য অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় বিদ্যুতের যৌক্তিক মূল্যহার নির্ধারিত হলে অপচয় ও চাহিদা হ্রাস পাবে।
পিডিবির দাবি- খুচরা বিদ্যুতের মূল্যহার সরবরাহ ব্যয়ের তুলনায় কম হওয়ায় বিদ্যুৎ সংস্থা ক্রমশ আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। মূল্য বাড়ালে নিজস্ব অর্থায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দাতাগোষ্ঠী থেকে আর্থিক সহযোগিতা লাভ সহজতর হবে। একইভাবে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
সংস্থাটির দাবি-বিদ্যুতের মূল্য না বাড়ালে পিডিবির বিতরণ খাতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হবে।
পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়- মূল্য বাড়ালে শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের তুলনায় আবাসিক গ্রাহকরা কম মূল্যে বিদ্যুৎ পাবে। ০-৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহক এবং কৃষি খাতের মূল্যহার অন্যান্য গ্রাহক শ্রেণির তুলনায় কমমূল্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
কিন্তু মূল্য বাড়াতে পিডিবি যে খুচরা মূল্যহার বিইআরসিতে পেশ করেছে তাতে গরমিল দেখা গেছে। সংস্থাটি সবচেয়ে বেশি মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে আবাসিক ও কৃষি খাতে। আবাসিকের প্রথম ধাপ ০-৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর জন্য পূর্বের ৩ দশমিক ৩৩ টাকা থেকে ১ দশমিক ৩৭ টাকা বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৭০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী বাণিজ্যিক খাতে মূল্য বাড়ানো হয়েছে ০.৬৩-১.১৪ টাকা পর্যন্ত।
আবাসিকে সাধারণত ০-৪০০ ইউনিট পর্যন্ত যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার। ৪০০ ইউনিটের উপরে
যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তারা ধনিক শ্রেণির লোক। এ ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হয়েছে। ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের ১ দশমিক ২৭ টাকা থেকে ১ দশমিক ৫৭ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পিডিবি। অন্যদিকে ৪০০-৬০০ বা তার ঊধর্ে্ব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি ইউনিটের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে মাত্র দুই পয়সা।
মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবে ওজোপাডিকো বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানায়। এ হারে মূল্য বৃদ্ধি না হলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটির আনুমানিক ৯৯৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন টাকা লোকসান হবে বলে জানায়।
মূল্য বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে ওজোপাডিকোর পক্ষে বলা হয়- গত মার্চ ২০০৭- সেপ্টেম্বর ২০১২ সাল পর্যন্ত বাল্ক ট্যারিফ ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও খুচরা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। খুচরা মূল্যহার নূ্যনতম ৬৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল বলে দাবি করা হয়। বাল্ক ট্যারিফের সঙ্গে সঙ্গতি না রেখে খুচরা মূল্যহার সমন্বয় না করায় কোম্পানির লোকসান হচ্ছে। এ জন্য এ অসঙ্গতি দূর করতে খুচরা মূল্য বাড়ানোর প্রয়োজন। মূল্যহার না বাড়ালে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২০২ দশমিক ৪০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হবে।
গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধির জন্য অনলাইন বিলিং এবং অনলাইন বিল পেমেন্ট পদ্ধতি চালু, মন্ত্রণালয় ও বিইআরসির নির্দেশনা মোতাবেক ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন এবং শূন্যপদে দক্ষ জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই এসবের খরচ প্রতি পূরণের মূল্য সমন্বয় করতে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর কথা বলেছে কোম্পানিটি।
বুধবার সকালে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) প্রস্তাবের ওপর। এতে ডিপিডিসি বিদ্যুতের মূল্য ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এ হারে মূল্য না বাড়ালে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮০৪ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে এমন যুক্তিও তুলে ধরেন তারা।
প্রস্তাবের যৌক্তিকতায় কোম্পানিটির দাবি- বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ৭ দশমিক ৯৩ টাকা পড়লেও খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৬ দশমিক ৬৬ টাকা। প্রতি ইউনিটে লোকসান দিতে হচ্ছে ১ দশমিক ২৭ টাকা। গত ২ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও গ্রাহকদের কাছে তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি ডিপিডিসির।
বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দেয় কোম্পানিটি। তবে মূল্য বাড়ানোর ফলে আবাসিক, বাণিজ্যিক, বৃহৎ শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, অফিসের পাশাপাশি ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান, সেচ ও পানির পাম্পের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি পাবে বলে অত্যন্ত সহজ-সরলভাব স্বীকার করে ডিপিডিসি।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রি. জে. (অব.) নজরুল হাসান অবশ্য এ প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে যাতে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে না হয়, সে সব দিক বিবেচনা করেই ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যুতের মূল্য ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে ডেসকো জানায়- বর্তমানে তাদের প্রতি ইউনিটে ১ দশমিক ২৩ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে।
মূল্য বাড়ানোর কারণ হিসেবে আরো বলা হয়- বর্তমানে ডেসকোর গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখ ১৫ হাজার ২৭৮। ২০১৫ সালে হবে ৮ লাখ ৫০ হাজার। বিদ্যুৎ চাহিদা হবে ১১৬০ মেগাওয়াট। ২০২১ সালে গ্রাহক সংখ্যা হবে ১৪ লাখ ৪০ হাজার। তখন বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা বেড়ে হবে ১৭০২ মেগাওয়াট। গ্রাহকদের অতিরিক্ত চাহিদা মোকাবেলার জন্য অনেক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ডেসকোর প্রস্তাব অনুযায়ী কৃষি ও আবাসিকের চাইতে বাণিজ্যিক এবং হাই ভোল্টেজ ব্যবহারকারী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ মূল্য কম ধরা হয়েছে। আবাসিকে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কৃষিতে ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত ফ্ল্যাটে মূল্য বাড়ানো হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে হাই ভোল্টেজ (সাধারণ ব্যবহার ৩৩ কেভি) বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ হারে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিআরইবি) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি বিদ্যুতের মূল্য ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। গ্রাহক পর্যায়ে যদি বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা হয় তাহলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রায় ৬৬২ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা ঘাটতি দেখা দেবে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পবিসের সমিতিগুলোর কাছে বিআরইবির বকেয়া পাওনার পরিমাণ মোট ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে দাবি করে।
বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর কারণ হিসেবে বলা হয়- বিআরইবি সমিতির গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনবল ও অফিস স্থাপনার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত জনবলের বেতন-ভাতাদিসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন প্রবৃদ্ধি এবং ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বেতন-ভাতাদি খাতের বার্ষিক ব্যয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১ জুলাই ২০১৩ হতে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকার ঘোষিত ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত কেপিআই বোনাস প্রদান করা হয়েছে। শীঘ্রই নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করা হবে। এসবের অর্থ জোগাতে বিদ্যুতের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবকে অবাস্তব হিসেবে অভিহিত করে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, মূলত কুইক রেন্টালের কারণেই বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কুইক রেন্টালের বিশাল ঘাটতির টাকা জনগণের পকেট থেকে নিতেই কোম্পানিগুলো মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর কঠোর সমালোচনা করে শামসুল আলম বলেন, এর ফলে মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ নাগরিকদের নাভিশ্বাস আরো তীব্র হবে।
সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি রাগিব হাসান মুন্না কোম্পানিগুলোর বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবকে অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য অভিহিত করে বলেন, গরিব মানুষের পকেট কাটতে তারা যেভাবে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে, তা মানা যায় না। কুইক রেন্টালের কারণে কোটি কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খানের সভাপতিত্বে সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন ও মো. মাকসুদুল হক শুনানি গ্রহণ করেন। গণশুনানিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিতরণী কোম্পানি ডিপিডিসির গড়ে ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ, ডেসকোর ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২ দশমিক ০১ শতাংশ, পিডিবির ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ওজোপাডিকোর ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং বিআরইবির ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ মূল্য বাড়ানের দাবির প্রেক্ষিতে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ মূল্য বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি, যা গড়ে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খান বলেন, গণশুনানিতে যারা কথা বলেছেন, সবার বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অধিকার ও সাধ্যের কথা বিবেচনা করে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ জানিয়েছিলেন- শুনানি শেষে যে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হবে তা মার্চ মাস থেকেই কার্যকর করা হবে