ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের জের ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে কিনা তা বিবেচনা করছে ন্যাটো জোট।
এমনকি সিরিয়াতে রাসায়নিক অস্ত্র অকার্যকর করার জন্য যে যৌথ কার্যক্রম রয়েছে সেটিকেও বাতিল করার কথা চিন্তা করছে ন্যাটো।
ন্যাটোর মহাসচিব এ্যান্ডার্স ফঘ রাসমুসেন বলেছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে রাশিয়া লঙ্ঘন করছে।
ফলে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল করে ইউক্রেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের দিকে নজর দেবার কথা ভাবছে ন্যাটো।
রাশিয়ার ব্যাপারে ন্যাটোর এই অবস্থানের জবাবে ন্যাটোতে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ যুগের নীতি ও কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে।
উদ্ভূত এই পরিস্থিতির মাঝেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হেগেল জানিয়েছেন, পোল্যান্ড এবং বাল্টিক অঞ্চলের আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য দেশটি অতিরিক্ত সহায়তা দেবে।
এরই অংশ হিসেবে পেন্টাগন থেকে আরো ছয়টি যুদ্ধবিমান অতিসত্বর পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন সংকট সমাধানে প্যারিসে যে বৈঠক বসেছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপিয়ান অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের সাথে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করলেও ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকারের কারো সাথে তিনি দেখা করেন নি।
তবে, বর্তমান সংকট সামাধানের জন্য জার্মানির চ্যান্সেলর আ্যাঙ্গেলা মের্কেল-এর সঙ্গে নানা বিষয়ে টেলিফোনে আলাপ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে, জাতিসংঘের প্রধান প্রতিনিধি রবার্ট সেরি ক্রিমিয়াতে পরিদর্শনে গেলে সেখানে অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের হুমকির ফলে, সেখানে তিনি ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করেছেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যে দ্বন্দ্ব, তার উত্তেজনা বৃহৎ দেশগুলোর মধ্যেও এখন ক্রমশই ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।