রাজধানীর আদাবরে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাফর, তার স্ত্রী শিল্পী আক্তার ও তার মেয়ের জামাই সৈয়দ মাসুম আল হোসেনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর এখনো তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে পারিবারিক সূত্রে দাবি করা হচেছ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি কর্মকর্তারা বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ওই কর্মকর্তার বাসা থেকে তাদের জমি-জমার মূল দলিল, ১৫টি সেল ফোন এবং নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এদিকে, বিজিবি এক এসএমএস বার্তায় জানিয়েছে যে, বিজিবিতে লোক নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে এক ভূয়া মেজরকে আটক করেছে ডিবি। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ডিবি অফিসের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এ ঘটনা নিয়ে ইটিভি’র প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যরাতে বাসা বাড়িতে ঢুকে তছনছ। এলোমোল পড়ে আছে আসবাবপত্র ও ঘরের নানা সামগ্রী। আলমারি খুলে চালানো হয়েছে তলস্নাশী। রাজধানী আদাবরের ৯ নম্বর রোডের ৭২৯/এ নম্বর বাসায় ডিবি পরিচয় দিয়েই চালানো হয় এ অভিযান।
বাসার দারোয়ান বলেন, ওনারা বলেন যে আমরা ডিবি পুলিশ সুতরাং তোমার কোন অসুবিধা হবে না। আর তুমি যদি ভালো থাকতে চাও তাহলে গেট খুলে দাও। এরপরেই আমি গেট খুলে দিয়েছি।
পরিবারের অভিযোগ মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাফরের বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করে। অস্ত্রের মুখে নিয়ে যায় জমির দলিল, নগদ টাকাসহ গুরম্নত্বপূর্ণ কাগজপত্র। সঙ্গে আটক করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, তার স্ত্রী শিল্পী আক্তার ও মেয়ের জামাই সৈয়দ মাসুম আল হোসেনকে।
সৈয়দ আবু জাফরের ছেলে বলেন, আমাদের জমির দলিল, বাবার ব্যাংকের চেক বই,ক্রেডিট কার্ড, ডেভিড কার্ড ও নগদ ২ লাখ টাকা ও ১৫টা সেল ফোন তারা নিয়ে যায়। এবং বলে যায় এই তিনজনকে যদি আমরা জীবিত পেতে চাই তাহলে তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি দেখা করে অথবা তারা আমাকে একটা এ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে বলে সেই নম্বরে ১৫ লাখ টাকা পাঠাতে হবে।
পরিবারের অপর এক সদস্য বলেন, ডিবি পরিচয়ে যারা আমার পরিবারের ৩জন সদস্যকে ধরে নিয়ে গিছে তারা আসলে ডিবির লোকজন কি না এটা একমাত্র আলস্নাহই জানে। আমরা জানিনা।
ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তারা উল্টো মারধর শুরম্ন করে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের।
তার স্ত্রী বলেন, তারা আমার স্বামীকে এমনভাবে মারধর করে যে সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না।
এ ব্যাপারে আদাবরে সাধারণ ডায়রী করতে গিয়েও পড়তে হয় ঝামেলায়। থানার ওসি মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানি করেছে বলেও জানান অবসরপ্রাপ্ত ঐ সেনা কর্মকর্তার ছেলে।
তিনি বলেন, আমি সরাসরি ওসি সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম এ ব্যাপারে কথা বলতে। কিন্তু তিনি আমাকে সহযোগিতা না করে উল্টো গালিগালাজ করেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আদাবর থানার ওসি। তিনি বলেন, আমি বলেছি যদি এর সত্যতা থাকে তাহলে আমি এ্যাপারে জিডি নিব। যেহেতু একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটা ব্যাপার। সুতরাং আমাকে এ ব্যাপারে একটা তদন্তô করতেই হয়।
এদিকে বিজিবির পড়্গ থেকে এস এম এস করে জানানো হয়েছে, বিজিবির লোক নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে আদাবর থেকে এক ভূয়া মেজরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে গেয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি।