জামিন শুনানির এখতিয়ার না থাকায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার-মেহেরুন রুনি হত্যা মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বুধবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের যুগ্ম-বেঞ্চ তাদের জামিন শুনানির এখতিয়ার না থাকায় মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
আদালত আদেশে বলেন, ‘কাউকে হাজির করে কোনো মামলার অবস্থা সম্পর্কে জানার এখতিয়ার থাকলেও আসামিকে জামিন দেয়ার এখতিয়ার এই বেঞ্চের নেই। আপনারা অন্য কোনো বেঞ্চে যান অথবা প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে আসেন।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যা মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে তদন্ত কর্মকর্তাকে ৫ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর যুগ্ম-বেঞ্চ।
কিন্তু বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে প্রথম আন্তর্জাকিত অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের যুগ্ম-বেঞ্চে আবেদন করেন।
আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হলে বেলা ২টায় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ। বেলা ২টার পর বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে আদালতের জামিন এখতিয়ার না থাকায় মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এসএম মাসউদ হোসেন দোলন। তাকে সহযোগিতা করেন খলিফা শামসুন্নাহার।
আইনজীবী দোলন জানান, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা প্রধান বিচারপতির নিকট আবেদন করবো। অথবা অন্য যে কোনো বেঞ্চে এ মামলার শুনানির জন্য যাবো। তারপর হয়তো একসঙ্গে আসামির জামিন ও তদন্ত কর্মকর্তার নিকট হতে তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে শুনানি হবে।’
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শেরে-বাংলানগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের। ওই মামলায় বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসানকে ১০ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই তিন আসামি গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের শুনানিকালে আদালত মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন।
