গত দশ বছরে প্রায় দুই হাজার মানুষ বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, এসব ঘটনা ঘটেছে ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের নামে। পাশাপাশি, এসব ঘটনার কালিমা লেগেছে গোয়েন্দা, র্যা ব, পুলিশসহ সরকারের প্রায় সব নিরাপত্তা বাহিনীর গায়ে। ব্যবস্থা নেয়নি কোনো সরকার। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ এবং ২০০৬, বিএনপি শাসনামলের শেষ দিকে এ সংখ্যা ছিল আঁতকে ওঠার মতো-৩৭৭ এবং ৩৬২ জন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ২০০৭ এবং ২০০৮ সালের হত্যার সংখ্যাও ফেলে দেয়ার মতো নয়। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোট বিচার বহির্ভূত হত্যার সংখ্যা ১৩০৪ জন।
নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বলেছিল বিচারবর্হিভূত হত্যা বন্ধ করা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা বন্ধ হয়নি। ক্ষমতার প্রথম বছরে বিচারবর্হিভূত হত্যা হয় ২২৯ জন। তাদের প্রথম দফার শাসনামলে সবমিলিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার সংখ্যা ৬২৪ জন। আর ২০১৪ সালের প্রথম মাসে বিচারবর্হিভূত হত্যা হয়েছে ৪২টি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ১৯৭৩ জন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, এসব ঘটনার বিপরীতে, নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাখ্যা সব সময়ই গৎবাঁধা। তাই, বরাবরই সন্দেহ উঁকি দিয়েছে। গত ১০ বছরে কোনো সরকারের আমলে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।