তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলী হয়েছেন। এগুচ্ছেন ধীরে। একের পর এক কৌশলেই মোকাবিলা করছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে ৫ জানুয়ারি থেকে গত দুই মাসে তিনি নির্বাচন করা, সরকার গঠন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, অর্থনীতিতে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্ট করে যাচ্ছেন। বিদেশি শক্তিগুলোর সমর্থনও আদায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন নিজেও সম্মিলিতভাবে সরকারের দায়িত্বশীলদের দিয়ে। এই কারণে গত দুই মাসে শেখ হাসিনার সরকারের হানিমুন পিরিয়ড কেমন যাবে এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও ও নানা কথা থাকলেও সেটা হয়নি। দুই মাস বেশ ভালভাবেই পার করতে যাচ্ছেন। কেবল বিএনপি ও পশ্চিমা আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর তরফ থেকে সরকারের সমলোচনা ছাড়া তেমন কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। এখন সরকারের উপর তেমন কোন চাপ নেই। কেবল বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করে দ্রুত আগাম নির্বাচন দেয়ার বিষয়টি ছাড়া। তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, আগাম নির্বাচন ও সংলাপের এই ইসুøতেই সামনের দিনে কঠিন মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তিনি। জুনের পর থেকেই তা বাড়তে পারে। যদিও এখনও তার সামনে রয়েছে পাঁচ চালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে তাকে। দড়্গ ও কঠোর হস্তে তা মোকাবিলা করতে না পারলে বড় ধরনের মাশুল দিতে হতে পারে। ড়্গমতাও ছাড়তে হতে পারে। এই চ্যালেঞ্জে সাফল্য লাভ করার জন্য বড় সহায়ক শক্তি জনগণ। তারা সরকারের বিরোধিতা না করলে সরকারের পথ চলা কঠিন হবে। কারণ পশ্চিমা আন্তর্জাতিক শক্তির বড় কয়েকটি শক্তি ও বিএনপি তাকে ড়্গমতাচুøত করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করবে। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, তিনি এতটাই দাম্্িভক প্রধানমন্ত্রী যা বিশ্বের কোনও দেশে নেই। এখন গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছেন। এই কারণেই কারও কোনও কথা শুনছেন না। শুনবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। দেশে বিদেশে কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। ৫ জানুয়ারির পর বলেছেন, বিদেশি কাউকে দিয়ে ফোন করালেও কোন কাজ হবে না বলেও প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ধরনের দাম্্িভকতায় অবাক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ভারত ছাড়া প্রায় সব দেশই অবাক। কিন্তু তারা অবাক ও বিস্মিত হলেও তা প্রকাশ্যে বলেননি। তবে শেখ হসিনা এ নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। তিনি মনে করছেন, যেটাই করছেন সেটাই ঠিক। সংবিধানের বাইরে কোনও কাজ করছেন না। সংবিধান মতে কাজ করার জন্য তার পাশে ভারত, রাশিয়া ও সেনাবাহিনী রয়েছে। এই তিন শক্তির সহায়তায় সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা ছাড়াও লড়্গ্যে পৌঁছুতে পারবেন। কোন চিন্তাই করছেন না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টা বলেছেন, ২০১৮ এর আগেই শেখ হাসিনাকে ড়্গমতা ছাড়তেই হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। আন্দোলনে নামব। সেই প্রস্তুতি চলছে। তিনি ২০১৯ এর আগে ড়্গমতা ছাড়বেন না ও আগামী মেয়াদেও সরকার গঠন করার যে পরিকল্পনা করছেন সেই সুযোগ তাকে দেয়া হবে না। বরং ড়্গমতা ছেড়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করেই তাকে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি সেভাবে কাজ করছে।
এদিকে নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জে শেখ হাসিনা সফল। তার কথা ছিল সুস্পষ্ট দশম নির্বাচন যথা সময়ে করবেনই। করেছেন। ড়্গমতাসীনও হয়েছেন। প্রয়োজন হলে বিএনপি তার চাওয়া পূরণ করে ও শর্ত মেনে সমঝোতায় এলে এরপর দশম সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এরপর একাদশ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবেন ও নির্বাচন দিবেন। কিন্তু ৫ জানুয়ারির দশম নির্বাচন করাই তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছিল বিএনপি ও আন্তর্জাতিক মহল। তাদের মত ছিল, ভোটার বিহীন ও এক তরফা নির্বাচন করে, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ১৫৪ জনকে বিজয়ী করিয়ে তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ও জনগণের ভোটাধিকারের অধিকারকে পদদলিত করেছেন। জনগণকে উপেড়্গা করে ড়্গমতায় যেতে চাইছেন। জনগণ কোন ভাবেই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি মেনে নিবে না। এর সমুচিত জবাব দিবে। এই জন্য জনগণ আগামীতে শেখ হাসিনাকে বর্জন করতে পারেন, তার সরকারকেও অসহযোগিতা করতে পারে। তারা আরও মনে করছেন শেখ হাসিনা টেন্ডার ভাগাভাগির মতো করে যে নির্বাচন করেছেন এই নির্বাচন দেশের জনগণ ও বিএনপি মানবে না। বিদেশি কোন দেশও মানছে না। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই নির্বাচন পর্যবেড়্গণ করবে না। বিদেশি কোন দেশই এই নির্বাচনে পর্যবেড়্গক পাঠাবে না। তারা একযোগে নির্বাচন বর্জন করবে। ওই নির্বাচন বর্জন করায় ওই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হলেও তাদেরকে বর্জন করবে। কিন্তু তাদের সেই সব কথার অনেক কথাই ধোপে টিকেনি। তিনি তার মতো এগিয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে তিনি এটাও করেছেন যে, সরকার গঠন করে সরকারের রুটিন কাজ করছেন। জনগণ সরকারের এখনও কোন কাজে বিরোধিতা করেনি। সরকারের কোন কাজের সমলোচনা করেও এর প্রতিবাদে কোন মিছিল সমাবেশ মিটিংও হয়নি। তবে গুম, ক্রসফায়ার নিয়ে সমলোচনার মুখে রয়েছে।
বিএনপির একাধিক নেতা ও বিশেষজ্ঞ বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র রড়্গা ও সংবিধানের বিধান মানার জন্য নির্বাচন নিয়ে শেখ হসিনার তরফ থেকে যা করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। এটা ইতিহাসে শেখ হাসিনার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারার ব্যর্থতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বলেছিল ওই সরকার গঠন করা হলে সেখানে ওই সরকারকে বিএনপি কোন ভাবেই মেনে নিবে না। বিদেশিওরা ওই অনুষ্ঠান বর্জন করতে পারেন। কিন্তু সেটা হয়নি। তারা যাবেন কিনা এনিয়ে বৈঠক করে পরে যোগ দেন। ওই সময়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছিল, এক দলীয় নির্বাচনে সরকারকে জনগণের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা তার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিবে। শেখ হাসিনা সেটা কাটিয়ে উঠছেন।
তার সামনে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ছিল তার দিক থেকে বিদেশি শক্তিগুলোর অনেকেই সহযোগিতার হাত ঘুটিয়ে নিবে। এই শক্তিগুলো তার কাজের সমলোচনা করছেন এবং সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার কথা বলছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি সেটি করতে না পারেন ও বিদেশি শক্তিগুলোর সঙ্গে কৌশল করে সমঝোতা করে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারেন তাহলে তিনি কার্যত একা হয়ে যাবেন। সেখানে থেকে তার পড়্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সহজ হবে না। দেশ গভীর সংকটে পড়বে এবং সেখানে অর্থনৈতিক অবস্থায় ধস নামতে পারে। বিদেশে রপ্তানি কমে গেলে সরকারকে বেকাদায় পড়তে হবে। এই চ্যালেঞ্জও এখনও তিনি মোকাবিলা করতে পারেননি। চেষ্টা করে যাচেছন। বিদেশি শক্তির সমর্থন এখনও পুরোপুরি আদায় করতে পারেননি। পোশাক শিল্পের সংকট কাটানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারছেন না। অর্ডার চলে যাচ্ছে ভারতে।
এদিকে ড়্গমতা নেয়ার পর ও আগামী দিনে শেখ হাসিনা সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনা। এটা করার জন্য দেশে চলমান সহিংসতা, নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যবসায় বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এখন দেশে অর্থনীতিকে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই বলে নতুন করে তেমন কোন বিনিয়োগ হচ্ছে না। সরকার এখনও দেশি ও বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেননি। এর জন্য চেষ্টা করছেন। তার সামনে এটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমস্যা হবে।। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করছেন, চলমান অবস্থা এমন হলে বিনিয়োগ পরিবেশ নষ্ট হলে সরকার বেকাদায় পড়বে। এখন যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে তাও কমে যাবে। দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলে বেকারত্ব বাড়বে। বেকারত্ব বাড়লে অপরাধ বাড়বে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল বিএনপিকে আন্দোলনের পথ থকে সরিয়ে আনা। সেটা তিনি পেরেছেন। নতুন করে বিএনপি আন্দোলনে যেতে চাইছেন। সেটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিএনপি আগামি দিনে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও সরকার এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিএনপি আবার আন্দোলনে নামলে সেখান থেকে সরানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামাবে। সংখ্যাও বাড়াচ্ছে এই জন্য। প্রয়োজন হলে অতীতের মতো যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করবে। নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করবে। বিএনপিকে আন্দোলনের কোন সুযোগ দিবে না। আন্দোলন কর্মসূচি দিলে তা পালনের সুযোগ দিবে না। আন্দোলন তার জন্য একটি বড় চালেঞ্জ হতে পারে সেই কারণেই এটা গড়ে উঠার আগেই অঙ্কুরে বিনাশ করতে চাইছেন।
এদিকে শেখ হাসিনার সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এরশাদকে সরকার গঠন ও এমপিদের শপথ গ্রহণের আগের দিন পর্যন্ত হাসপাতালে আটকে রাখা কিংবা প্রয়োজনে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে তার স্ত্রী রওশন এরশাদকে দিয়ে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখা। যে কোন ভাবেই তা রাখার জন্য চেষ্টা করেন। সফল হন। এরশাদের দলকে নির্বাচনে রাখতে না পারলেও সরকার গঠন করার পর বিরোধী দলের বসার মতোও কোন দল না থাকলে সমস্যা হবে। কিন্তু তিনি এরশাদকে নির্বাচন রাখতে ও সরকারে রাখতে সেই সঙ্গে বিরোধী দলের আসনে বসাতেও সড়্গম হয়েছেন। তিনি জোর করে এরশাদের পার্টিকে নির্বাচন করানোর পর তা এমপি হওয়ার পর তারা একযোগে মন্ত্রী পদের মতো পদত্যাগ করতে পারে। এই পদত্যাগ করলে ওই সব আসনগুলো শূন্য হবে। ওই সব আসন শূন্য হলে বিরোধী দলে বসার মতো কোন দলই থাকবে না তেমন। এই অবস্থায় এরশাদের এমপিরা নির্বাচিত হওয়ার পর পদত্যাগ না করেন ও তাদেরকে এমপি পদে রাখারও তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা তিনি পারবেন নাকি এরশাদ আটকা অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার দলের সকল এমপিদের পদত্যাগ করতে বলেন সেটাও দেখতে হবে । সেটা হলে ওই সরকার শূন্য আসনে নির্বাচন করতে গিয়ে নতুন করে সংকটে পড়তে হবে। বিএনপি আসবে না, জাপাও আসবে না। ফলে সরকারি দলগুলোকেই অংশ নিতে হবে। ফলে ওই সময়ে নতুন করে সরকারি দল থেকে কোন দলকে বের করে বিরোধী দলে বসানো সম্্ভব হবে না। সেই ড়্গেত্রে সমস্যা হতে পারে। কিন্ত সেই চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে পেরেছেন।
শেখ হসিনার সামনে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চলতি সংসদের মাধ্যমে গঠিত সরকারের মেয়াদ পূর্তি করা। বিএনপি বলছে সরকার জানুয়ারি মাস শেষ করতে পারবে কিনা এটা নিয়েই সন্দেহ ছিল। কিন্তু সরকার সেটা করেছে। সেই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছর মেয়াদপূর্ণê করার পরিকল্পনা করেছেন। এদিকে বিএনপি মনে করছে তারা এমন আন্দেলন গড়ে তুলবে যে তাকে ড়্গমতা ছাড়তেই হবে। বরং এখনও সময় আছে তিনি ড়্গমতা ছেড়ে দিলেই সবচেয়ে ভাল হবে। তা না হলে দেশের অবস্থা অনেক খারাপ হবে। বিএনপির এই আন্দোলন মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
এদিকে বিএনপি মনে করছে নতুন করে আন্দোলনে সরকার ও শেখ হাসিনা যতদিন পর্যন্ত মনে করবে যে তিনি বিএনপির দাবি মেনে নিবেন না। ততোদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করেই যাব। এই আন্দোলনের কোন সময় নেই বলে জানায় ওই সব নেতা। এই জন্য বলেছে প্রয়োজনে সাড়ে চার বছর আন্দোলন করতে হলেও তা করবে। এতে দেশের অর্থনীতির অনেক ড়্গতি হবে। আর এই ড়্গতি হলে আমরা কিছুই করতে পারব না। কারণ আন্দোলন করতেই হবে। এই আন্দোলন করার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। সেটাও করব। এখন দেশকে গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার সরকার মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি। এই জন্য আবার গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে কিছু ড়্গতি হবেই। শেখ হাসিনাকে তার অবস্থান থেকে সড়তেই হবে। তিনি যদি তার অবস্থানে অনড় থাকতে পারেন সেটা ধরে রাখাই হবে তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সম্পাদনাঃ ইমরুল শাহেদ
উৎসঃ amadershomoy