রাজধানীর কদমতলীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহতের বিষয়ে র্যাব-১০-এর অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেছেন, “কাছ থেকে বা শরীরে ঠেকিয়ে তাদের গুলি করার বিষয়টি অসত্য। উভয়পক্ষের গোলাগোলিতেই আহত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।”
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধলপুরে র্যাব-১০ এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
সোমবার দুপুরে কদমতলীর আলমবাগ মদিনা মসজিদ সড়কের ১৩১ নতুন জুরাইনের বাড়িতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজনের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন ওই এলাকার ভরত মন্ডলের ছেলে মো. ওয়াসিম (৫০) ও ১০৬/১ মদিনা মসজিদ সড়কের আব্দুস সামাদের বাড়ির সংগ্রাম চৌধুরী (৪৫)।
র্যাব-১০ অধিনায়ক খন্দকার গোলাম সারোয়ার দাবি করেন, “সকাল ১০টার দিকে ওই বাড়িতে কিছু লোককে সন্ত্রাসীরা মুক্তিপনের দাবিতে নির্যাতন করছে, এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা সিঁড়ি ও পাইপ বেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা তাদের মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। দুপুর ১২টার দিকে ওয়াসিম ও সংগ্রাম গুরুতর আহত হয়।”
তাদের মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহদেব রাজবংশী জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই দুজন মারা গেছেন।
এ ঘটনায় র্যাবের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সঞ্জয় ও তায়েবুর এবং কনস্টেবল রাজিব আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে র্যাব কার্যালয়ে বিশ্রামে আছেন।
আক্তার(৪২), রানা(১৮), জনি(২৪) ও জাহাঙ্গীর (২৮) নামের চার পুরুষ ব্যক্তিকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়। তারা জানান, কদমতলীর আটতলা বাড়িটিতে বন্দি করে মুক্তিপণ দাবি করে বৈদ্যুতিক শক ও লাঠিপেটাসহ বিভিন্নভাবে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছিল।
র্যাব জানায়, নিহত ওয়াসিম বিভিন্ন মামলার আসামি। এসব মামলার মধ্যে একাধিক হত্যার ঘটনাও রয়েছে। তিনি বুড়িগঙ্গা ২ নম্বর (পোস্তগোলা) সেতুর টোল আদায়ের ইজারাদার ছিলেন। আশেপাশের এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। আর সংগ্রাম ছিলেন তার সহযোগি।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, নয়টি গুলি, সাতটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।