১৯৯৬ সালের ভয়াবহ শেয়ারবাজার কেলেঙ্করির ঘটনায় দীর্ঘ ১৮ বছর পর এক মামলার বিচার শুরু করেছে আদালত।
সোমবার মামলাটির দুই আসামি এসইএস কোম্পানির চেয়ারম্যান রুনা আলম ও পরিচালক সাবিথ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলার বাদী সিকিউরিটিজ একচেঞ্জ কমিশনের তৎকালীন পরিচালক এমএ রশিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আগামি ৩১ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ১৯৯৭ সালের দায়ের হওয়া ওই মামলায় ১৯৯৯ সালের ১৫ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় ১৩ বছর মামলাটির উপর স্থগিতাদেশ থাকায় বিচার প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
সাক্ষ্যকালে মামলার বাদী এমএ রশিদ খান জানান, ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ কেলেঙ্করির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন তিনি। কমিটির তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয় এসইএস কোম্পানি। এরপর ১৯৯৭ সালের ২ এপ্রিল তিনি আদালতে ওই মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আসামিরা ওই কোম্পানির মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শেয়ারবাজার প্রভাবিত (ম্যানুপোলেশন) করার জন্য আইন ও বিধি বর্হিভূতভাবে বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি গ্রহণ করেন।
তারা ওই কোম্পানির মাধ্যমে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) রেকর্ড অনুযায়ী বেক্সিমকো ফার্মার বৈদেশিক ভিডিপির মাধ্যমে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮০০ শেয়ার হস্তান্তর দেখায়। কিন্তু বাস্তবে মাত্র ৯ লাখ ৮ হাজার ২০০ শেয়ার হস্তান্তর হয়েছিল।
একইভাবে এসিআই কোম্পানির ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩৭০টি শেয়ার হস্তান্তরের স্থানে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৭০ এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩৪ হাজার ৪৫৯টি শেয়ার হস্তান্তরের স্থানে ৪৮ হাজার ৪৫০টি শেয়ার হস্তান্তর দেখানো হয়েছিল।