ফোন করার পরও অ্যাম্বুলেন্স না আসায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। এতে এক ডাক্তারসহ মোট তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন, মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল হোসেন, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জগির আহমেদ ও পিয়ন তাজুল ইসলাম। তাদের মধ্যে তাজুল ও জগিরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল এবং ডাক্তার-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, রোবারার সন্ধ্যার দিকে শাহাজালাল হলের ছাত্ররা মেডিকেল সেন্টারে ফোন করে অ্য্রাম্বুলেন্স আসতে বলেন। সময় মতো অ্যাম্বুলেন্স না আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা লাটি-সোটা নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে হামলা চালায়।
এ সময় তারা ডা. মোস্তফা কামাল হোসেনকে মারতে গেলে পিয়ন ও অন্যান্য কর্মচারীরা বাধা দেয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীরা পিয়ন তাজুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে। এতে আরো আহত হয় ডা. মোস্তফা কামাল হোসেন ও ডাইভার জগির আহমেদ।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহসানুল করিম জনি নতুন বার্তাকে বলেন, “ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এ বিষয়ে চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, “ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। পুলিশ একবার রাউন্ড দিয়ে চলে গেছে। মেডিকেল সেন্টারের সবাই নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, “ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” নতুন বার্তা