সন্ত্রাসের ধারায় ছাত্রলীগ, বিব্রত সরকার

0
126
Print Friendly, PDF & Email

দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মাত্র দেড় মাস পার হয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ডজনখানেক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ছাত্রলীগের এই কর্মকাণ্ডে বেশ বিব্রত সরকার।

ছাত্রলীগের এসব সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডের কারণে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ শীর্ষ নেতাই বেশ ক্ষুণ্ণ। তাদের ভাষ্য-আওয়ামী লীগের গত পাঁচ বছরের শাসনামলেও সরকারের যা কিছু অর্জন ছিল, দেশের জন্য সরকার যা কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছিল তার অনেকটাই ফিকে হয়ে যায় ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে। তাই দলটির প্রবীণ নেতারা মনে করেন, সময় থাকতেই ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সরকারকেই এর মাশুল দিতে হবে।

ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় পুরান ঢাকার নিরীহ যুবক বিশ্বজিতের মৃত্যুর পর ওই প্রবীণ নেতারা জানিয়েছিলেন, খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন। তিনি নিজেই বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করবেন এবং বিশ্বজিতের পরিবার তাদের প্রাপ্য সুবিচার পাবে।

আওয়ামী লীগের বিগত শাসনামলে অর্থাৎ বিগত ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, হত্যাকাণ্ডসহ অনেক অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি। তাদের এসব হামলা আর জোর-জুলুমের কারণে নিহীহ যুবক বিশ্বজিৎসহ অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। একটি ছাত্র সংগঠনের এসব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষকে হতভম্ব ও বিস্মিত করেছে।

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার দল দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করার ঠিক ২৫তম দিনে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে এবং বর্ধিত ফি প্রত্যাহারসহ কয়েকটি দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জোটবদ্ধ হয়ে যখন নিজেদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেমেছিল, তখন আন্দোলন প্রতিহত করতে তাদের ওপর গুলি চালায় খোদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা! এই ঘটনার পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে বরখাস্ত করে।

শেয়ার করুন