আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে দুর্বৃত্তরা বেশি ছিল: সিইসি

0
136
Print Friendly, PDF & Email

দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। দ্বিতীয় ধাপে ১১৫ উপজেলার ভোট গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
সহিংসতাকারীদের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্বল ছিল কি না— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্বল হবে কেন। তবে দুর্বৃত্তরা সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বেশি ছিল।
কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, কমিশন যখনই অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। নোয়াখালী সদর উপজেলার ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি উপজেলার ৩৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সারা দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ২১৬ জনকে শাস্তি দিয়েছেন। জরিমানা করেছেন পাঁচ লাখ টাকার ওপরে। অভিযোগ সম্পর্কে পরে তদন্ত হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে শিথিলতার অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন জেলায় ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট পেপার ছিনতাই সম্পর্কিত বিএনপির অভিযোগের ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘আমাদের কাছে সব প্রার্থী নির্দলীয়।’
তার আগে বিকেলে কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম সারা দেশের সহিংসতা সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভোটকেন্দ্রের সর্বেসর্বা হলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। কোনো ধরনের অনিয়ম ঘটলে তাঁরা ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এ বিষয়ে কমিশনের কিছু করার নেই।
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও বরিশাল সদরের ১১, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের একটি, ফেনী সদরের দুটি, ঢাকার সাভারের দুটি, কেরানীগঞ্জের একটি, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির তিনটি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ছয়টি, কুমিল্লার লাকসামের দুটি, মনোহরগঞ্জের একটি, বাগেরহাটের ফকিরহাটের একটি, জামালপুরের বকশীগঞ্জের একটি, মেলান্দহের দুটি এবং সিলেটের বালাগঞ্জের একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন