মঞ্জুর হত্যার মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

0
116
Print Friendly, PDF & Email

বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজই মামলার সরকারি কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান খান রচি কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর হত্যা মামলার পুনঃতদন্তের আবেদন করেন।এ সময় এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম এর বিরোধিতা করে বলেন, এটি মামলাকে বিলম্বিত করার কূটকৌশলমাত্র। পরে এ নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়। শুনানি শেষে দুপুরে হত্যা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ।

এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদসহ তিন আসামিই আদালতে হাজির হন। এ সময় জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিচারক বদল হওয়ায় এর আগে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় থাকার পরও রায় পিছিয়ে যায়।

মঞ্জুর হত্যা মামলায় নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি এই দিন ধার্য করেন বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ। ওই দিন রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় আদালত নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির আদেশ দেন।

এ মামলার আসামিরা জামিনে রয়েছেন।মামলার বাকিরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল লতিফ,অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী এমদাদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুর রহমান শামস ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন।এদের মধ্যে আবদুল লতিফ ও শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে।

মঞ্জুরকে হত্যার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ জুন এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এতে বলা হয়, ১৯৮১ সালে তত্কালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা এম এ মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়।

শেয়ার করুন