গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে সাতজন ও বিএনপি থেকে পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে পাঁচজন এবং বিএনপি থেকে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন ওই দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ গঠনের পর প্রথম দুটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ বিজয়ী হন। দীর্ঘদিন বিরতির পর ২০০৯ সালে এই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সিকদার জয়লাভ করেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূরুল ইসলাম সিকদার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আহম্মেদ এবং জেলা বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শওকত ইমরান।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, মৌচাক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব মিয়া, উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও আটাবহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ইয়াছিন, গাজীপুর বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মো. ইব্রাহিম।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলের সমর্থন পেতে সবাই জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইছেন না। জানাতে চাইলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বলেন, যেভাবেই হোক, একক প্রার্থী দেওয়া হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদক আজমত উল্লা বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা ও উপজেলার নির্বাহী কমিটির সদস্যদের বৈঠকে একক প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আলোচনার মাধ্যমে না হলে ভোটাভুটি হতে পারে।