খেলার ছলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধষর্ণ, প্রতিবাদে তাণ্ডব

0
94
Print Friendly, PDF & Email

খেলার ছলে এবার ধষির্ত হলো শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল থেকে ফেরার সময় বল দেবার কথা বলে কালু মাহাতো পানশালার পিছনে নিয়ে তাকে তাকে ধষর্ণ করে।

শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটার পর দিল্লি রোডের ওই পানশালায় ভাঙচুর চালায় জনতা। প্রহৃত হন পানশালার মালিকের ছেলে। পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ।

ধষর্ণকারী কালু মাহাতো পোলবার দিল্লি রোডের সুগন্ধা মোড়ে পানশালার কাছেই একটি ছোট চায়ের দোকান চালায়। বাড়ি পোলবার অমরপুর গ্রামে। জনতা দোকানটি পুড়িয়ে দেয়। পুলিশ কালুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে জনতা। শেষ পর্যন্ত চুঁচুড়া পুলিশ লাইন থেকে বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

নির্যাতিত ছাত্রীর বাড়ি কাছেই কামদেবপুর গ্রাম। তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “মেয়েটির বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোলবারই একটি হাইস্কুলে পড়ে ছাত্রীটি। এ দিন সেখানে সরস্বতী পুজোর খাওয়া-দাওয়া ছিল। স্কুল থেকে দিল্লি রোড ধরে হেঁটে একা বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। যাতায়াতের পথে আগেই তার পরিচয় হয়েছিল বছর চব্বিশের কালুর সঙ্গে। পুলিশের দাবি, বল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এ দিন সে মেয়েটিকে পানশালার পিছনে আমবাগানে ডেকে নিয়ে যায়। কিছু ক্ষণ পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের কয়েকটি কারখানার লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে আসেন। কালু পালায়।

মেয়েটিকে প্রথমে মোটরভ্যানে চাপিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার বাবা-মা দিনমজুরি করেন। তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। মেয়েটি কাকিমাকে ঘটনার কথা জানায়। গ্রামে সেই খবর চাউর হতেই কয়েকশো মানুষ এসে কালুর দোকানে আগুন দেন। তার পরে চড়াও হন পানশালায়। তাঁদের অভিযোগ, পিছনের আমবাগানে ধর্ষণ হওয়া সত্ত্বেও পানশালার কর্তা ও কর্মীরা মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেননি, অভিযুক্তের নামও জানাননি। গ্রামবাসীদের জড়ো হতে দেখে দোতলা পানশালাটির একতলার শাটার আগেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটি লক্ষ করে বৃষ্টির মতো ইট ছোড়া হতে থাকে। এক দল লোক দোতলায় উঠে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়। আগুন ধরানোরও চেষ্টা হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় পানশালার মালিক অমর মাইতির ছেলে স্বরূপকে। তাঁদের একটি গাড়িও ভাঙচুর হয়। স্বরূপকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘেরাওয়ের মুখে পড়ে পুলিশও। পরে কালুকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে জনতা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে তাণ্ডব।

শেয়ার করুন