জেলা সংবাদদাতা: (কক্সবাজার, ২৩ ফেব্রুয়ারি)- আন্দোলনে তার (বেগম খালেদা জিয়া) হুকুমে পেট্রোলবোমা মেরে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এরা কি কোনো মানুষ? কোনো মুসলমান কি পারে একজন মুসলমানের গায়ে আগুন দিতে? আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়। আর বিএনপির নেত্রী আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছেন। আজ রবিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি আজ কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক এ স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী এদেশে যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নির্যাতন করেছে, বিএনপির নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলনের নামে এখন একই কায়দায় হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট চলছে। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধমন্দির পুড়িয়েছে। ইসলাম ধর্মে তো তা বলে না। কোরআন শরীফের শিক্ষা হলো যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী জামায়াত প্রসঙ্গে বলেন, জামায়াতে ইসলাম কেবল নামে ইসলাম, কাজে তো কোনো ইসলামী কর্মকাণ্ড দেখি না। তারা কখনোই মানুষের সঙ্গে থাকে না। ২০১৩ সালের মে মাসে বায়তুল মোকাররমে তারা জায়নামাজে আগুন দিয়েছে। শত শত কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে। কোরআন শরীফ যে পোড়ায় সে কীভাবে ইসলাম নাম দিয়ে রাজনীতি করে।
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়ে যায়। খাদ্য ঘাটতি দূর হয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত হয়। আমাদের শামনামলে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি। উপযুক্ত দাম না লবণচাষীরা কষ্টে আছেন তা আমরা জানি।
তারা যাতে উপযুক্ত দাম পেতে পারেন সে ব্যবস্থা আমরা করবো। সারা বাংলাদেশে ভূমিহীন, নিঃস্ব মানুষদের আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা দিচ্ছি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছি। মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে ডিগ্রী পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য বৃত্তি দেয়া শুরু হয়েছে। এসএসসি পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে।