জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এক ছাত্রদল কর্মীর হাতের কব্জি ও অপর একজনের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ও ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের ওপর এসব হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের গাংচিল বাজারে ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তারা হাজী সায়দুল হকের দুই ছেলে ছাত্রদল নেতা আমিনুল হক মাসুদ ও সিরাজুল হক বাবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। হামলায় মাসুদের হাতের কব্জি ও বাবুলের বাম হাতের দুটি আঙ্গুল আলাদা হয়ে যায়।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সেক্রেটারি দোলোয়ার হোসেন মুন্নার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তারা মুন্নাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর থানায় খবর দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে পুলিশ উপজেলার পেশকারহাট রাস্তার মাথা থেকে অনিক ও জুয়েল নামের আরো দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে। একই সময় উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের একতা বাজারে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা বাজারের বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে।
ছাত্রলীগের এসব তাণ্ডবের কথা এলাকাবাসী থানা পুলিশকে জানালেও পুলিশ ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজেদ রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।