দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। আগামী ২৭ মার্চ ১১৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তরের এসব উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হবে নির্বাচনের মূল লড়াই। তবে কিছু কিছু উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন হতে এ তথ্য জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপে লালমনিরহাট জেলার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সম্প্রতি এ উপজেলাগুলো সফর করে নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। তবে সদর আসনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হলেও অন্যগুলোতে জাতীয় পার্টির অবস্থা তেমন ভাল নয়। পাটগ্রাম উপজেলায় জামায়াত প্রার্থীর জনপ্রিয়তা থাকলেও এখন পর্যন্ত ফলাফল কোন দিকে যাবে তা বলা যাচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ নিউজের জেলা প্রতিনিধি।
বগুড়ায় চারটি উপজেলায় নির্বাচন হবে এ দফায়। এরমধ্যে কাহালু, শাহজাহানপুর ও শিবগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ভাল। আদমদিঘিতে বিএনপির প্রার্থী ভাল অবস্থানে রয়েছে। এ উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়বে সরকার বিরোধী ১৯ দলীয় জোট। গত ১৯ তারিখের নির্বাচন নিয়ে বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার খবর প্রকাশিত হওয়ায় প্রশাসন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে রয়েছে। সর্বশেষ ফলাফলের জন্য নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
নাটোরে চারটি উপজেলায় নির্বাচন হবে দ্বিতীয় দফায়। নির্বাচনী প্রচার প্রচরাণা বেশ জমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ নিউজের স্থানীয় প্রতিনিধিরা। গতকাল আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক প্রার্থীকে জরিমানা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ জেলায় সদর উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুইজন করে প্রার্থী রয়েছে। বাগাতিপাড়ায় জামায়াতের কোন প্রার্থী না থাকলেও অন্যগুলোতে একজন করে প্রার্থী রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এ উপজেলাগুলোতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হবে বলে জানা গেছে।
প্রথম ধাপের উপজেলাগুলোতে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সহিংসতা ছাড়াই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশ-বিদেশে এ নির্বাচন প্রশংসিত হয়েছে। কোন কোন উপজেলায় আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবহার ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে জনগণ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলে উপজেলা নির্বাচনের ধারাবাহিক ফলাফল বিএনপির ঘরে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।