জামায়াত নিষিদ্ধ হচ্ছে না কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলতে চান না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। আমি এ ব্যাপারে কথা বললে এ মামলাসহ অন্যান্য সকল মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বিচারাধীন বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না।’
রোববার বিচার ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন জেলার যুগ্ম ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন আইনমন্ত্রী।
‘ক্রসফায়ার বন্ধের ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হবো।’
অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরও বলেন, ‘বর্তমান বিচার ব্যাবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মামলার জট দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সহায়ক আইন তৈরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধন করে কিছু ক্ষেত্রে আপোষ- আলোচনার মাধ্যমে মামলা মীমাংসার ব্যাবস্থাও করা হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি জেলায় কিছু মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে, ইতিমধ্যে তার খোঁজ নেওয়া হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, অনেক জেলায় বিচারক স্বল্পতা আছে। বিচারকের স্বল্পতা পূরণের জন্যেও ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
সংবিধান অনুযায়ী সকল বিচারক স্বাধীন উল্লেখ করে উপস্থিত বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একজন বিচারক যদি নিষ্ঠা ও নৈতিকতার মান বজায় রাখতে পারেন তাহলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
এ সময় সততা, নিষ্ঠা ও নৈতিকতা ঠিক রেখে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান সরকারের এই মন্ত্রী।
বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের ৩৬ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।