প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে হেরে সরকার বেসামাল হয়ে জুলুম-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এমন অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত ও ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। সাধারণ মানুষদের গণহারে গ্রেপ্তার করছে।
শনিবার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক চুটুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মহেশপুর উপজেলায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী আজ সকালে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে।
গতরাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
ডা. শফিকুর বলেন, সরকার প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বেসামাল হয়ে জুলুম এবং নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাচনে জনগণের ভোটে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, এ সব ঘটনায় প্রতীয়মান হয় আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য প্রশাসনকে নগ্নভাবে ব্যবহার করছে।
অবিলম্বে জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও অপহরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার-নির্যাতন চালিয়ে জনগণের রায় ছিনিয়ে নেয়া যাবে না। জনগণ তাদের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন অবশ্যই বিজয়ী হবে- ইনশাল্লাহ।’
উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত ও ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য এবং সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান ডা. শফিকুর।