টানা তিন বছর কারাবন্দি থাকার পর মুক্তির স্বাদ পেলেন ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া তিমোশেনকো। শনিবার ইউক্রেনের পার্লামেন্টে তার মুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি শেষে তাকে কারামুক্তি দেওয়া হয়। বিরোধীদের জনপ্রিয় এই নেতা বন্দিশালা থেকে মুক্তির ঘন্টাখানেক পরই হাজির হন বিক্ষোভস্থলে।
বিক্ষোভে গত সপ্তাহে নিহতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নায়ক এবং আপনারাই ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে ভালো করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এই সহিংসতায় দেশটিকে ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, আপনাদের এই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারো এই স্থান ত্যাগ করা উচিত হবে না। কারণ অন্য কোন দেশ কিংবা অন্য কেউ এটা করেনি। যা আপনারা করেছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
কারাগারে দুই বছর ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন তিমোশেনকো। হুইল চেয়ারে বসে তিনি উপস্থিত প্রায় ৫০ হাজার সরকারবিরোধীর উদ্দেশ্যে কথা বলেন।
এর একদিন আগে প্রেসিডেন্ট ইয়াকোনোভিচ তার ক্ষমতা হ্রাস করা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে চুক্তিতে একমত হন এবং আগাম নির্বাচনের কথা জানান। এদিকে বিরোধীরা প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নেয়ায় ভিক্টর ইয়াকোনোভিচ রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পূর্ব ইউক্রেনের কারকিভ শহরে চলে গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের বিক্ষোভের পর ভিক্টর ইয়াকোনোভিচ প্রেসিডেন্ট এবং তিমোশেনকো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১০ সালে নির্বাচনে ইয়াকোনোভিচ জয়লাভের পর তিমোশেনকোকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আটক করেন। এর পর টানা তিন বছর ধরে কারাবিন্দ ছিলেন তিনি। তবে বিক্ষোভকারীদের চাপে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে ছাড়া পেলেন জনপ্রিয় এই নেত্রী।