বাংলাদেশে দশম জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা, এর প্রভাব, গার্মেন্টসে শ্রমিক অধিকারসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশের কর্মকান্ড নিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা। শনিবার মার্কিন এই সম্প্রচার মাধ্যমটি ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে এই সম্পাদকীয় প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাস নির্মূল, চরমপন্থী দমন, মাদক-অস্ত্র চোরাচালন রোধ, মানব পাচার বন্ধসহ নানা বিষয়ে দুই দেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা বিশওয়ালের বরাত দিয়ে সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশ উদ্বেগজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন। গত ৫ জানুয়ারি সরকার একটি দ্বিধান্বিত নির্বাচন করেছে। যাতে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। ফলে ৩০০টি আসনের অর্ধেকেরও বেশি আসনে প্রার্থীরা বিনা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। আর বাকিগুলোর অধিকাংশতে সামান্য প্রতিযোগিতা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের মতেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। এটা এই অঞ্চল ও বাংলাদেশের স্থিতিশীলতায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যাতে যত দ্রুত সম্ভব অবাধ, স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা যায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়ে আসছে। তবে সহিংসতাকে অগ্রহণযোগ্য এবং এটি গণতন্ত্রের অংশ নয় বলে যুক্তরাষ্ট্র বার বার বলে আসছে। নিশা বিশওয়াল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংসতা, জ্বালাওপোড়াও, ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা বিরক্ত। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে চলমান বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এই অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কারখানায় কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিক অধিকার শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাজরিন ফ্যাক্টরিতে আগুন কিংবা রানা প্লাজা ধস যেন পুনরায় না হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে। গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে এবং কাজের পরিবেশ নিশ্চিত এবং শ্রমিক অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছে। এগুলো রক্ষায় বাংলাদেশের দ্রুত এগিয়ে আসা উচিত।