অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা হলমার্ক জালিয়াতির কারণ

0
116
Print Friendly, PDF & Email

২০১২ সালে হলমার্কের জালিয়াতি সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বার্ষিক সম্মেলন ২০১৪ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যেসব জাল-জালিয়ারিত ঘটনা ঘটে তার মূলে থাকে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা। সোনালী ব্যাংকে যে হলমার্কের কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটেছিল সেটাও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতার জন্য।’

এসব জালিয়াতি রোধে সব ব্যাংকগুলোকে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশও দেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের যে অলস সম্পদ রয়েছে তা ব্যবহার করে ব্যবসা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলোকে জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হতে হবে। ব্যাংকের পরিবেশ যেন সুন্দর ও সুস্থ হয়। সকলের আস্থা সকলের বিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে।’

এখন ব্যাংকিং এর জন্য ব্যাংকে যেতে হয় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনলাইনেই সব কাজ হয়ে যায়।
তবে এ কাজ করতে গিয়ে যেন গ্রাহক প্রযুক্তিগত হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. এ এইচ এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত, পরিচলনা পর্ষদ সদেস্যবৃন্দসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ড. এম আসলাম আলম বলেন, ‘সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জের শাখার ১৬ কোটি টাকা চুরির অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাংকিং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গাইড লাইন পরিপালন করা হচ্ছে না। পরবর্তিতে দেখা গেছে ওই শাখাটি অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে ছিল। কিন্তু আগেই কোনো ব্যবস্থ নেয়া হয়নি। এইসব ঝুঁকিপূর্ণ শাখা চিহ্নিত করতে পারলে আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হতো। তাই ব্যাংকের সার্বিক সাফল্য অর্জনে সবদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় সিসি ক্যামেরা ঠিকমতো কাজ করে না। এইটা ব্যাংকের জন্য বড় ঝুঁকি।’

সোনালী ব্যাংক শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। এটা আদায় সম্ভব না হলে ব্যাংক হুমকির মুখে পড়তো বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমানত অনেক বেড়েছে কিন্তু এটা প্রশ্নবিদ্ধ অগ্রগতি। কারণ আমানত সংগ্রহের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি কনেক কম। বিনিয়োগ করতে না পারলে অলস আমানত ব্যাংকের ক্ষতি করে। তাই আমানতের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।’

ড. এম আসলাম আরো বলেন, ‘সোনালী ব্যাংক তাদের বিনিয়োগের অধিকাংশ ঋণ কর্পোরেট শাখাগুলোর মাধ্যমে বড় বড় গ্রহীতাদের দেয়। এর ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর ঋণ খেলাপি কমাতে তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ঋণ দিয়ে ব্যাংকিং ব্যবসাকে বিস্তৃত করার নির্দেশনা দেন।

শেয়ার করুন