ছাত্রকে চুমু দেওয়ার অপরাধে কারাগারে শিক্ষিকা

0
243
Print Friendly, PDF & Email

১৩ বছর বয়সী ছাত্রের ঠোঁটে চুমু দিয়ে বেকায়দায় পড়ে গেছেন ৪২ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা। শুধু চুমু নয়, ওই ছাত্রের কাঁধে ও ঘাড়ে ‘লাভ বাইট’ বা প্রেমের দংশন এঁকে দিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। আর এ অপরাধে সিঙ্গাপুরের একটি আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আলোচিত শিক্ষিকা ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। তিনি চার সন্তানের জননী। তার বিরুদ্ধে শিশু ও অল্প বয়সীদের ওপর যৌন নিপীড়নের আরও দু’দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।সিঙ্গাপুরের ‘চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং পারসন্স অ্যাক্ট’-এর আওতায় শিক্ষিকার বিচার করা হয়েছে।

আদালতের নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা কিশোরের ঠোঁটে চুমু এবং তার কাঁধে ও ঘাড়ে ‘লাভ বাইট’ বা প্রেমের দংশন এঁকে দেন।

এ ঘটনাটি ২০১২ সালের। তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি আদালত।

বার্তা সংস্থা এএফপি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৩ বছর বয়সী ছাত্রটি শিক্ষিকার ছেলের সঙ্গে একসঙ্গে ফুটবল খেলতো। এরই সুবাদে ছেলেটির সঙ্গে প্রথমে ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে তোলেন দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষিকা।

এরপর পাবলিক পার্কে গিয়ে তার সঙ্গে এসব আচরণ করেন তিনি। আদরের উছিলায় কিশোরটি শরীরে যৌন কামনার চিহ্ন এঁটে দেন। চুম্বনের সঙ্গে দাঁতের কামড় বসান কিশোরটির ঘাড়ে।সেখান থেকে কিশোরটি বাড়ি ফিরে এলে, তার ঘাড়ে ‘লাভ বাইট’ দেখে তার মা এ বিষয়ে জানতে চান। কিশোরটি তার মাকে বিষয়টি খুলে বললে তার মা পুলিশের শরণাপন্ন হন।

আদালতের বিচারক ‘নং পেং হং’ রায়ে লিখেছেন, ‘১৩ বছর বয়সী ছেলের ওপর এমন একজন মানুষ যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন, যিনি শিক্ষিকা। পাবলিক পার্কে বসে ছাত্রের গায়ে ‘লাভ বাইটস’ এবং তার ঠোঁটে চুমু দেওয়ার সময় জিব ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষিকা অশ্লীল, যৌন আচরণ করেছেন’।

আদালতে শিক্ষিকার নিযুক্ত আইনজীবী জানান, তিনি মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন। তবে আইনজীবীর এমন কথা বিচারিক আদালত তেমন একটা আমলে নেননি।

শেয়ার করুন