বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, জামায়াত ও হেফাজত ধর্মের নামে রাজনীতি করে। এরা প্রকৃত ধর্ম প্রাণ মুসলমান নয়। অথচ তারা ধর্ম রক্ষার নামে গ্রামে গ্রামে কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে, এ সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের বড় অংশ আন্তর্জাতিক জাহরি গোষ্ঠির সঙ্গে সম্পকৃত। সাংবাদিক জুলফিকার মানিকের রিপোর্টে এর সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়।
শুক্রবার রাতে একাত্তর টেলিভিশনে ‘একাত্তর জার্নাল’ অনুষ্ঠানে মনজুরুল আহসান বুলবুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম প্রাণ মানুষে রাষ্ট্র। জামায়াত ইসলাম দলটি ধর্মকে রাজনীতির মূল উপাদান হিসাবে বেঁছে নিয়েছে। যখন ধর্মের সঙ্গে রাজনীতির সংমিশ্রায়ন হয়েছে তখনি দেশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এদেশে ধর্মের চেহার তিনটি। একটি শ্রেণির সাধারণ মানুষ প্রকৃত ধর্ম প্রাণ। আরেক শ্রেণীর মানুষ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন। যেমন হেফাজতে ইসলাম নামটি ধর্মীয়।
এদেশের সব আন্দোলন ধর্মের নামে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে এমন কথা উল্লেখ করে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন ধর্মের নামে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ শাহবাগের উত্থান। এই উত্থানকেও ধর্মের নামে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
১২ মাসের মধ্যে ৫টি মাস জঙ্গিদের দখলে নেই এমন কথা মনে করে তিনি বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, জানুয়ারি বছরের প্রথম মাস, ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মাস, মার্চ মাস মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনের মাস, এপ্রিল মাস পহেলা বৈশাখের মাস। এই ৫ মাসের বাঙালীর জাগরণ যদি বাকি ৭ মাসকে নিয়ন্ত্ররণ করতে পারত তাহলে ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ এদেশে থাকত না।
মনজুরুল আহসান বুলবুল আরো বলেন, যারা বিজয়ের মাস, ভাষার মাস, মুক্তিযুদ্ধের মাস ও পহেলা বৈশাখের মাসকে পাহাড়া দেয় তারা যখন গোটা বাংলাদেশকে পাহাড়া দেবে তখন জঙ্গিবাদ এদেশে দাঁড়াতে পারবে না।