এটা নিয়ে অনেকদিন ধরে কথা হচ্ছিল, চাপা আলোচনা হচ্ছিল কিন্তু কোনো সঠিক জরিপ পাওয়া যাচ্ছিল না যে এটা কতটা ভয়াবহ।
একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে, আসলেই বিমানবালারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এটার আশঙ্কজনক পর্যায়ে রয়েছে।
হংকং ভিত্তিক ‘ইক্যুয়াল অপারচুনিটিজ কমিশন (ইওসি)’ গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে এমন তথ্য প্রকাশ করে।
তারা জানায়, ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত এই সময়টিতে ৯ হাজার প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়। এর মধ্যে ৩৯২ জন বিমানবালার উত্তর পাওয়া যায়।
ক্যাথি প্যাসিফিক, ড্রাগনএয়ার, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইনস- এ সব বিমানসংস্থাগুলোর বিমানবালার (পুরুষ-নারী) কাছে ওই প্রশ্নপত্রগুলো বিলি করা হয়েছিল।
মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই ছিল নারী এবং বাকি ১৪ শতাংশ পুরুষ উত্তর পাঠিয়েছিল। যাত্রীদের সবচেয়ে বিরক্তিকর ২০টি অভিজ্ঞতার বর্ণনা উঠে এসেছে ওই জরিপে।
ইওসি এর মুখপাত্র মারিয়ানা ল বার্তা সংস্থা সিএনএন-এর কাছে বলেন, প্রধানত দুটো কারণে তারা কম উত্তর পেয়েছেন।
প্রথমত বেশিরভাগ বিমানবালারাই হংকংয়ের। আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে যৌন হয়রানি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু এবং একারণে বেশিরভাগই মুখ খুলতে চায়নি।
তবে যতটকু জবাবই পাওয়া গেছে তা একটি ভয়ানক দিকেরই দিকে ইঙ্গিত করছে।
জরিপটিতে দেখা যাচ্ছে, মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৭ ভাগ (নারী ২৯ ভাগ এবং পুরুষ ১৭ ভাগ) গত ১২ মাসে কর্তব্য পালনকালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
হয়রানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিঠ চাপড়ানো, শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করা, চুম্বন করা ও চিমটি কাটা। আরো আছে অশ্লীল কৌতুক করা, কামুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অশ্লীল ছবি প্রদর্শন করা অথবা যৌন কাজের আবেদন করা।
জরিপে বলা হয়, প্রায় ৫৯ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন যাত্রীদের কাছ থেকে। ৪১ ভাগ সহকর্মীদের কাছ থেকে এর শিকার হয়েছেন। সহকর্মীদের মধ্যে আছেন সিনিয়ররা এবং এমনকি ককপিটের পাইলট সদস্যরাও।