বিপদ বুঝেই বাংলাদেশ তিন শক্তিধর দেশগুলির পাশে এসেছে। নাহলে তাদের কোনো উপায় ছিলৎ না। বাংলাদেশকে টেস্ট খেলিয়ে দেশের মর্যাদা পাওয়ার জন্য চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতেই হতো। সেটাই করেছেন বাংলাদেশের কর্তারা। এর আগে বলা হয়, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড এই দলগুলিকে নিয়ে গড়া জোটে স্বাক্ষর করবে না বাংলাদেশ। তারাও বাকি দেশ পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মতো দৃঢ় অবস্থান নেবে। কিন্তু কূটনৈতিক চালে বোর্ড কর্তারা তাদের পাশে নিয়ে এসেছেন।
বেশি অর্থ, বেশি ক্ষমতাভোগ। এই দাবিকে সামনে রেখেই ভারত এবার খড়গহস্ত। তারা এই বার্তা সম্প্রতি আই সি সি’র সভায় বুঝিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও একই দাবি জানিয়েছে। আই সি সি’র সভায় বিতর্কিত খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি না হলেও ভারতই যে নিয়ন্ত্রক, তা বেশ বোঝা গেছে। প্রস্তাবে কিছু পরিবর্তনের পর সব বোর্ডই এর অনেক বিষয়ে ‘একমত’ হয়েছে বলে আইসিসি জানায়। যদিও আইসিসি’র এই মত খণ্ডন করে দিয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাক ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে আইসিসি সভার নীতি নিয়ে নিজেদের সংস্থায় আলোচনা করা হবে। সেই একই কথা জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডও। তারপরই ৮ ফেব্রুয়ারি আইসিসি’র মূল সভায় উত্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়।
তিন দেশের এই পরিবর্তিত প্রস্তাব পাস হলে বিশ্ব ক্রিকেটে ক্ষমতার দু’টি স্তর তৈরি হবে। ক্ষমতার সবটাই নির্ভর করবে তিন দেশ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের ওপর। তারাই নিয়ন্ত্রক হয়ে বাকি দেশের ওপর ছড়ি ঘোরাবে। এমনকি আইসিসি চেয়ারম্যান পদেও ভারতের কর্তা বসা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বাকি দুটি দেশ সেই প্রস্তাব মানবে কি না, সেই নিয়েও গুঞ্জন চলছে। বলা হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের ক্ষমতাবলেই আইসিসি’তে লভ্যাংশ চাইছে। বাংলাদেশকেও তারা এই দলে টেনেছে। বাংলাদেশের কর্তাদের তুষ্ট করতে বিসিসিআই কর্তারা জানিয়েছেন, তারা ধোনিদের বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ খেলতে পাঠাবেন। তাতে যদি বাংলাদেশ গেট সেল বাবদ অর্থ পায়, সেটাই লাভ। তবে শেষমেশ তিন দেশের জোটের ভূমিকা কি হবে, তা বোঝা যাবে ৮ই ফ্রেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরের আই সি সি-র সভাতেই। -সংবাদ সংস্থা