দিল্লির আমআদমি দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন বিরোধী নেতা হর্ষবর্ধন।
বিরোধী দল বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কক্তৃতা দেয়ার সময় বলেন, দিল্লির আম আদমি সরকার ক্ষমতায় আসার ৩০ দিন পার হয়েছে। এই ৩০ দিনে তারা দিল্লির জনগণের সঙ্গে ৩০টি মিথ্যা বলেছে।
দিল্লির নতুন সরকারের কড়া সমালোচনা করে হর্ষবর্ধন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, তার দল নির্বাচনে জিতলেও তিনি সরকারের কোনো পদ নেবেন না। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেন,,‘প্রথম দিন থেকেই কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চলেছেন।’
কেজরিওয়াল বলেছিলেন তিনি নিরাপত্তা নেবেন না। কিন্তু গত ২৮ ডিসেম্বর রামলীলা ময়দানে তিনি ও তার মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানে কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা ছিল।
আপ নেতা গত ২৯ ডিসেম্বর লোকপাল বিল পাশ করার কথা বলেও সেটি পাশ করেননি। তিনি বড়লোকি সংস্কার তুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তার মন্ত্রীরাই দামি দামি গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
হর্ষবর্ধন তার অভিযোগে বলেন, নিজের কথার বরখেলোপ করে মুখ্যমন্ত্রী নিজের জন্য ভগবান ডাস রোডে ১০ কামরার বিলাসবহুল বাড়ি নিয়েছিলেন। পরে জনতার অসন্তুষ্টির মুখে সে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে ছোট বাড়িতে ওঠেন। কেজরিওয়াল দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৬৬৭ লিটার পানি বরাদ্দের প্রতিশ্রুটিও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেননি বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, শহরের মাত্র মাত্র তিন ভাগ মানুষ মাত্র এ সুবিধা পাচ্ছে।
জয়বর্ধন আরো বলেন, তিনি দিল্লির জনগণের বিদ্যুৎ বিল ৫০ ভাগ কম করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন। কিন্তু সেটিও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।কিন্তু এখন ৪শ ইউনিটের মধ্যে যাদের বিল আসে তাদেরকেই কেবল এ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের তিন লাখ অস্থায়ী কর্মচারীর চাকুরি স্থায়ীকরণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাতেও তিনি সফল হননি বলে হর্ষবর্ধন উল্লেখ করেন। আর এ কারণেই আন্দোলন শুরু করেছে স্কুল শিক্ষকরা।