মদ পান করতে গিয়ে বার কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঢাবির এস এম হলের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। এতে ছাত্রলীগের এসএম হল শাখা সভাপতি মেহেদী সহ সাত ছাত্রলীগ কর্মী ও দুই বার কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দিনগত মধ্যরাতে এ শাহবাগের পিকক বারে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মী পিকক বারে মদ পান করতে যান। বারের কর্মীর সঙ্গে বিল নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার গায়ের ওপর বার কর্মীরা হাত তোলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এসএম হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসানকে মোবাইলে এ ঘটনা জানান। ছাত্রলীগ কর্মী শহিদুল্লাহকে নিয়ে মেহেদী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তার সঙ্গেও বার কর্মীদের বাক বিতণ্ডা হয়। বার কর্মীরা মেহেদীর গায়েও হাত তোলে।
পরে এ খবর পেয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার ও ছাত্রলীগ নেতা বান্নার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন কর্মী রড, লাঠি ও স্ট্যাম্প নিয়ে পিককে ছুটে যায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পিকক কর্মীরা ওপর থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর কোমল পানীয়ের খালি বোতল ছুঁড়ে মারলে অন্তত ছয়জন আহত হয়। আহতরা হলেন রবিউল, নাছিম, তাহসান, নাছির, সুলতান, সূর্য। তবে রবিউল মারাত্মক আহত বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পিকক কর্মীরা নিচে রাখা একটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ছাত্রলীগের দাবি, পিককের স্টাফরা আগে থেকে প্রস্তুত ছিলো। ফলে তাদের আঘাতে ছাত্রলীগ কর্মীরা আহত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই সুরুজ বাংলামেইলকে বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। পরে বড়রা এসে এটা মিটমাট করে দিয়েছেন। এখন আর কোন ঝামেলা নেই।’
তবে কেউ আহত হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
উৎসঃ বাংলামেইল২৪