বরিশালের মুলাদী গাছুয়া ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রাম থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২২ সদস্যকে আটকের পর দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল আদালত। সঙ্গে সঙ্গে আটক ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২২ সদস্যকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাবিবুর রহমানের আদালতে।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, বরিশালের মুলাদী গাছুয়া ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রাম থেকে ছাত্রী সংস্থার ২২ সদস্যকে ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট আটক করে মুলাদী থানা পুলিশ। তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় মুলাদী থানা থেকে বরিশাল নিয়ে আসে। বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর আক্তারের আদালতে তাদের হাজির করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। পরে পুলিশ আটক ২২ সদস্যসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ এনে মুলাদী থানার এসআই মনোরঞ্জন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই যোবায়ের দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাবিবুর রহমানের আদালতে মামলার চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য ছিল। সরকার পক্ষ আদালতে উপযুক্ত বক্তব্য উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত সব আসামিকে খালাসসহ মামলা খারিজ করে দেয়।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন কাবুল, অন্যদিকে আসামিপক্ষে চার্জ শুনানিতে অংশ নেন বরিশাল বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনায়েত পীর খান, অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন মাসুম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসাইন, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহজাদা পলাশসহ অন্যান্য আইনজীবী।