ঝটপট রাগ কমানোর ৫টি দারুণ বৈজ্ঞানিক কৌশল

0
178
Print Friendly, PDF & Email

মাঝে মাঝে আমাদের সবারই প্রচন্ড রাগ উঠে যায়। কোনো কিছুর ওপর কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তির উপর প্রচন্ড রাগের কারনে অনেক সময় আমরা নিজেরই ক্ষতি করে বসি। অথবা হুট করে অনুচিত কিছু করে ফেলি কিংবা বলে ফেলি। ফলে মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং রাগ কমে গেলে পস্তাতে হয়।

আবেগ অনুভুতির উপর নিয়ন্ত্রন খুব কম মানুষেরই থাকে। তাই হঠাৎ রাগ উঠে যেতেই পারে। কিন্তু হঠাৎ খুব বেশি রাগ উঠে গেলে বড় কোন ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে ফেলার আছে কিছু উপায়। যেন-তেন উপায় নয়, রীতিমত বৈজ্ঞানিক কৌশল। আসুন জেনে নেয়া যাক ঝটপট রাগ নিয়ন্ত্রনের ৫টি দারুণ বৈজ্ঞানিক কৌশল। রাগ তো কম্বেই, এমনকি হেসেও ফেলতে পারেন আপনি!
ঠান্ডা পানি পান

খুব বেশি রাগ উঠে গেলে ঢক ঢক করে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিন। ঠান্ডা পানি খেলে কিছুটা হলেও রাগ নামবেই। এটা রাগ নিয়ন্ত্রনের জন্য অব্যর্থ ও পরীক্ষিত একটি পদ্ধতি। ঠাণ্ডা পানি শরীরে এক রকমের প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয় না মন শান্ত করতে সাহায্য করে।
শুয়ে পরুন

অতিরিক্ত রাগ উঠে গেলে শুয়ে পরা উচিত। প্রচন্ড রাগের মাথায় শুয়ে পড়লে রাগ নেমে যায় অনেকটাই। আশেপাশে শুয়ে পরার জায়গা না থাকলে বসে পরুন। বসে পড়লে কিছুটা রাগ কমে যায়। বসা অবস্থায় রাগ হলে দাঁড়িয়ে যান। পায়চারী করুন। এতেও রাগ কমবে।
উল্টো গুনুন

অনেক বেশি রাগের মাথায় সম্ভব হলে উল্টো গুনুন। ১০০ থেকে মনে মনে গুনতে গুনতে ১ পর্যন্ত আসুন। যদি এতো ধৈর্য্য না থাকে তাহলে অন্তত ১০ থেকে ১ পর্যন্ত গুনুন। তাহলে রাগ কমে যাবে অনেকখানি।
সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন

অনেক বেশি রাগের মাথায় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করলে রাগ কমে যায়। সকল ধর্মেই অতিরিক্ত রাগের কুফল বর্ননা করা আছে। তাই নিজের ধর্মের সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করলে রাগ কিছুটা হলেও কমে যায়।
আয়নার সামনে দাড়ান

অনেক বেশি রাগ উঠে গেলে নিজের রাগী চেহারাটা আয়নায় দেখুন। আয়নার সামনে নিজের রাগী রূপটা কেউই পছন্দ করে না। তাই রাগ কিছুটা নয়, আসলে বেশ খানিকটা কবে যায়। এমনকি নিজেকে দেখে হেসেও ফেলতে পারেন আপনি।

শেয়ার করুন