সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ঘুম মিডিয়াতে বেশ আলোচিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে তিনি ঘুমিয়ে আলোচনায় এসেছেন অনেকবার। ফায়ার সার্ভিসের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনে বসে তিনি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া নিয়েও হৈ চৈ পড়ে যায়। এবার তিনি দশম সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পুরো সময়টুকু ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলেন।
শুধু মহীউদ্দীন খানই নয়, তার সঙ্গে থেমে থেমে ঘুমিয়েছেন অপর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনও। দু’জনেই বসেছেন সংসদের প্রথম সারিতে।
অধিবেশন শেষ হয় রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে। রাষ্ট্রপতির দীর্ঘ ভাষণের পুরো সময়ে ঘুমোতে ঘুমোতে বেশ কয়েকবার ঢলে পড়ছিলেন মহীউদ্দীন খান। তার দুই আসন পরে বসা সাহারা খাতুনের অবস্থা একই। সাহারা অবশ্য মহীউদ্দীনের তুলনায় ঘুমে অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন।
এদিকে অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের আগেও এক সংসদ সদস্যকে ঘুমের ঘোরে চলে যেতে দেখা যায়। শোক জানিয়ে সবাই এক মিনিট নিরবতার জন্য দাঁড়িয়ে গেলেও তিনি দাঁড়াতে পারেননি। পরে তার পাশে বসে থাকা অপর সদস্য তাকে ঠেলে ঘুম থেকে তুলেছেন।
ঘুমের দেশে হারিয়ে যেতে আরও অনেককে দেখা যায়। সংসদে এভাবে ঘুমানোর দৃশ্য অনেক নবীন সংসদ সদস্য ‘অবাক’ হয়েছেন। তারা বলেন, ‘অন্তত সংসদে এভাবে ঘুমোনো উচিৎ নয়।’
প্রথমবারের মতো এমপি হয়ে আসা বিএনএফের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘কী আর বলবো। তারা যদি ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে জাতির কী হবে?’