তাহলে ধরা পড়তাম না : সোহেল

0
100
Print Friendly, PDF & Email

‘ইচ্ছা ছিল ৩০০ বস্তা চাল দান করব আটরশি হুজুরের দরবারে। কিন্তু আমার সেই ইচ্ছা পূরণ হলো না। তার আগেই ধরা পড়ে গেলাম। আমার মনে হয়, হুজুরের দরবারে চাল পৌঁছে দিতে পারলে আর ধরা পড়তাম না।’ এই সরল স্বীকারোক্তি কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটকারী সোহেলের।

র‌্যাবের হেফাজতে এমন আরো কিছু মজার এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সোহেল। তিনি জানিয়েছেন কীভাবে টাকার বস্তাগুলো ঢাকায় আনা হয়, তার বিস্তারিত বিবরণ। সোহেল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। বলেছিলেন লুট করা টাকার বস্তাগুলো রিকশাভ্যানে করে এনে বাসের ছাদে ওঠান। পরে রাতে স্বীকার করেন টাকার বস্তাগুলো বাসে নয়, ট্রাক ভাড়া করে ঢাকায় আনা হয়।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু মজার তথ্য দিয়েছেন। এসব তথ্য নিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা গত দুই দিন ধরে বেশ মজা করছেন। সোহেল জানান, ফরিদপুরের আটরশির ওরস শরিফে চাল নিয়ে যাবে- এ কথা বলে ট্রাক ভাড়া নেন তিনি। ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন ট্রাকটি। পরে চালককে নয়ছয় বুঝিয়ে নেওয়া হয় রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায়।

‘এটাই আমার বড় ভুল হয়েছে, আমি যদি আগে পীরের দরবারে চাল পৌঁছে দিতাম, তাহলে হয়তো ধরা খেতাম না’- সোহেলের এই কথা শুনে উপস্থিত র‌্যাব কর্মকর্তারা সবাই হেসে ওঠেন। তবু সোহেল থামেননি, তিনি বলেই চলেছেন তার বোকামির কথা। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এত টাকা নিয়ে আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল, কী করব ভেবে উঠতে পারছিলাম না।’

‘এর আগে শনিবার বিকেলে সুড়ঙ্গ দিয়ে যখন টাকার বস্তাগুলো বের করে আনছিলাম, তখনই নিয়ত করি আটরশি পীরের দরবারে ৩০০ বস্তা চাল দান করব। কিন্তু আমার কপাল খারাপ, নইলে কি এই অবস্থা হয়?’ নিজেকে এমন প্রশ্ন করে সোহেল আরো বলেন, ‘টাকার বস্তা ট্রাকে তুলে ওই রাতেই ঢাকায় পৌঁছাই। পথে আসতে আসতে ভাবি আগে টাকাগুলো নিরাপদে রাখি, তারপর চাল কিনে আটরশি চলে যাব। এটাই আমার সবচেয়ে ভুল হয়েছে।’

শেয়ার করুন