বাংলাদেশের নতুন সরকারকে বৈধতা দেওয়ার কথা বলেননি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের ও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে কিছু সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশে নবনির্বাচিত সরকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যায় প্রতিবেদনগুলোতে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত কাদেরের বক্তব্যকে সঠিকভাবে উদ্ধৃত করা হয়নি। একই সঙ্গে সংবাদ বিশ্লেষণেও কিছু অনাকাক্সিক্ষত ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়েছে, যা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন।
এতে বলা হয়, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিসওয়ালের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠকটি কোনো রুদ্ধদ্বার বৈঠক ছিলনা বরং এটি রুটিন বৈঠক।
উক্ত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত কাদের ১৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতির অবতারণা করেন, যাতে মার্কিন প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। মুখপাত্রের আগের এ বক্তব্যের সঙ্গে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো নতুন বক্তব্য সংযোজন করেননি।
নিশা দেশাইকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্র্রদূত কাদের এ বিষয়ে কোনো সংবাদপত্রে বক্তব্য দেননি। তার পরও সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে কিছু সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারকে মার্কিন প্রশাসন বৈধতা দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের পক্ষ থেকে অন্য কোনো বিদেশি সরকারের কাছে বৈধতা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।