স্বস্তি ফিরে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ‘বিগ থ্রি’র হুমকিতে টেস্ট খেলতে না পারার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল কেটে গেছে সেটা। কেননা ‘বিগ থ্রি’র ‘দাদাগিরি’ প্রস্তাবের বিপক্ষে আরও চারটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে গতকাল দুবাইয়ের সভায় অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এজন্য শক্তিধর তিন দলের প্রস্তাবের কোনোটিই পাস হচ্ছে না আইসিসির সভায়।
বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দাবির সঙ্গে মঙ্গলবার সভা চলাকালে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়নও (জেডসিইউ)।
বিসিসিআই প্রধান শ্রীনিবাসন হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, বিসিবি সম্মতি না দিলে এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল পাঠাবে না ভারত। জবাবে সরকারি নির্দেশের কথা জানিয়ে বিসিসিআই প্রধানের নির্দেশ পালন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন নাজমুল হাসান।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মূল দাবি, টেস্ট পরিবার থেকে বাংলাদেশের অবনমন প্রতিরোধের ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেন বিসিবি প্রতিনিধিরা। ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাবিত ‘পজিশন পেপারে’র আরও অনেক ইস্যু নিয়ে দেনদরবার শেষে বাংলাদেশের প্রাণের দাবি পূরণে সক্ষম হন নাজমুল হাসানরা।
বাংলাদেশের টেস্ট খেলা নিয়ে আইসিসিও পাঠিয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। তাতে স্পষ্টই লেখা, ‘সব সদস্য দেশই যোগ্যতার ভিত্তিতে সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবে।’ আর এজন্যই ২০১৯ সাল পর্যন্ত আইসিসির পূর্বনির্ধারিত ফিউচার ট্যুরস প্রগ্রামও (এফটিপি) বহাল থাকবে। আইসিসির বিজ্ঞপ্তি আইসিসির পরবর্তী সম্প্রচার স্বত্ব ও এফটিপির মেয়াদ উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৫-২০২৩ মেয়াদে।