জাতীয় সংসদ ভবনকে দেশের সর্বোচ্চ নিরাপদ স্থাপনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ভবন থেকেই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যাবতীয় আইন পাশ হয়। এ ভবন থেকেই রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি নির্ধারিত হয়। সংসদীয় কার্যক্রম, মন্ত্রী, চেয়ারপারসন এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির অফিস রয়েছে এই ভবনে। কিন্তু মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের ভেতরে এক ভিন্ন পরিস্থিতির দেখা মেলে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ নির্বাচিত করতে জাতীয় পার্টির নেতারা সকালেই সংসদ ভবনে অবস্থিত বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ে আসতে শুরু করেন। এজন্য সংসদ ভবনে সকল মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত হতে থাকেন। তাই তাদের জন্য সংসদ ভবনের পঞ্চম তলায় অবস্থিত সাংবাদিক লাউঞ্জটি খুলে দেয়া হয়।
সকাল সোয়া ১১ টার দিকে পরিবর্তন প্রতিবেদক ষষ্ঠ তলার সাংবাদিক লাউঞ্জ থেকে তৃতীয় তলায় অবস্থিত বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ের যাওয়ার পথে পঞ্চম তলার সাংবাদিক গ্যালারি-২ এর সিঁড়িতে দেখতে পান, কেউ সেখানে মলত্যাগ করে রেখেছেন। সিঁড়ির আরো কিছু স্থানে মানুষের মল দেখা যায়।
ওই সিঁড়ির আশপাশে আগেও মলত্যাগ করার চিহ্ন দেখা যায়। যা শুকিয়ে গেছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালের মল ছিল একেবারেই নতুন।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের কয়েকজন সংসদ সচিবালয়ের দায়িত্ত্বরত কর্মকর্তাদের জানালে তারা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তা পরিস্কার করতে বলেন।
এ নিয়ে সাংবাদিকসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেও প্রশ্ন দেখা দেয়, জাতীয় সংসদে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। নিশ্চয় এমন কেউ সেখানে প্রবেশাধিকার করতে পারবেন না, যে এমন কাজ করতে পারে। তাই এ কাজটি কে করেছে তা খতিয়ে দেখা উচিত।
কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, কাজটি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছে, সেটা স্পষ্ট। এর মাধ্যমে সংসদের ‘নিশ্ছিদ্র’ নিরাপত্তাকে বিদ্রুপ করা হয়েও থাকতে পারে। কারণ, প্রতিটি ফ্লোরের সবার ব্যবহারের জন্য (কমন) শৌচাগার রয়েছে। পাশপাশি অধিকাংশ কক্ষেই সংযুক্ত টয়লেট রয়েছে। কারো প্রয়োজন হলে সে সেখানেও যেতে পারত।
তারা বলেন, সংসদ ভবনে নিরাপত্তার বিষয় যেহেতু সিসিটিভির মাধ্যমেও করা হয়। তাই ওই ফুটেজ দেখে ওই ‘অপরাধীকে’ সনাক্ত করা উচিত সংসদ সচিবালয় কর্তৃপক্ষের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এ অবস্থায় সংসদের ভেতরে এ ধরণের রহস্যজনক কার্যকলাপে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!উৎসঃ পরিবর্তন