গুমের ঘটনা বেড়েছে

0
105
Print Friendly, PDF & Email

হঠাৎ বেড়ে গেছে কথিত ‘সাদা পোশাকধারীদের’ তৎপরতা। তাদের এই তৎপরতার কারণে দেশে গুমের ঘটনা বেড়ে গেছে। সাধারণত যে অভিযোগ বারবার ওঠে, তাতে বলা হয়, ‘সাদা পোশাকধারী’ কিছু লোক একটি ‘সাদা মাইক্রোবাসে’ করে এসে লোকটিকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা কখনও নিজেদের সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র‌্যাব, কখনও বা ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দিলেও তারা আসলে কারা সে বিষয়টি বছরের পর বছর রহস্য হয়েই থাকে। এক সময় শুধু র‌্যাবের ওপর গুমের অভিযোগ আনা হলেও এখন ডিবি পুলিশের নামও ব্যবহার করতে শোনা যাচ্ছে। একজন উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, সাদা পোশাকধারীরা ধরে নিয়ে যায় এটা এখন আর ফেলে দেয়া যায় না। কারণ হচ্ছে- ভুয়া ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব সেজেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে একটি চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই চক্রের কাছে ওয়াকিটকি এবং পুলিশের পোশাক পাওয়া গেছে। এমনকি তারা জিম্মি করে মুক্তিপণও আদায় করে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, দেশে গত কয়েক মাসে বেশকিছু লোক নিখোঁজ বা গুম হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যান এখনও তৈরি না হলেও একটি মানবাধিকার সংস্থার খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সংখ্যা অন্তত ৪০ হবে। তবে সংস্থাটি এ প্রতিবেদন এখনও চূড়ান্ত করেনি।
পুুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুসারে, ২০১০ সালে অপহরণের ঘটনা ঘটে ৮৭০টি, ২০১১ সালে ৭৯২টি, ২০১২ সালে ৮৫০ এবং ২০১৩ সালে ৮৭৯টি ঘটনায় মামলা রেকর্ড হয়। এর মধ্যে গত বছর শুধু রাজধানীতে অপহরণের ঘটনা ঘটে ১৬৫টি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অপহরণের ঘটনা নানাভাবে ঘটেছে। আর চলতি বছর জানুয়ারি মাসের সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি না হলেও সারা দেশে এ সংখ্যা ৮০ জনের বেশি হবে।
গুমের পর স্বজনকে ফিরে পেতে কোনো কোনো পরিবারের তৎপরতা বেশ লক্ষ্য করা গেলেও পরে অজ্ঞাত কারণে তারা গণমাধ্যমকেও কিছু বলতে চান না। যতদূর জানা যায়, গুমের শিকার যে ব্যক্তি তার পরিবাবকে হুমকি দেয়া হয়। বিশেষ করে তারা সরকারের বাহিনীকে দোষারোপ করলে একপর্যায় মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকা ছাড়া আর উপায় থাকে না। এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ও বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের পক্ষে গুমের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রের বাহিনী এ গুমের ঘটনা ঘটাচ্ছে। কিন্তু গত এক বছরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিরোধী শিবিরের নৈরাজ্য কঠোরভাবে মোকাবেলা করেছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, ‘কোনো গোষ্ঠী অপরাধী চক্র দিয়ে গুম বা নিখোঁজ করিয়ে তা রাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। কারণ ইদানীং অপরাধী চক্র অনেক কৌশলী হয়েছে। আর বিরোধী শিবিরগুলোও এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, আইনের শাসনের প্রতি যখন শাসকগোষ্ঠীর শ্রদ্ধা থাকে না, তখন এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যায়। মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর তথ্য অনুযায়ী, গেল পাঁচ বছরে গুমের শিকার হয়েছেন ৮৭ জন। জানা যায়, গুমের পর কেউ কেউ ফিরেও এসেছেন। কিন্তু তাদের ফিরে আসার বিষয়টি যাতে কোনোভাবে কেউ না জানে সে বিষয়ে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।
গুমের পর হত্যা ও নিখোঁজ নিয়ে কাজ করা একটি মানবাধিকার সংস্থার একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেছেন, শুধু এক মাসে গুম ও অপহরণের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১৫টি। আর রাজনৈতিক সংকটকালীন এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা আরও অনেক বেশি। তিনি বলেছেন, তারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। শিগগিরই প্রতিবেদন আকারে তা প্রকাশ করা হবে। তবে সাম্প্রতিক গুম বা নিখোঁজের ঘটনা প্রায় ৪০ জন হবে। বিরোধী দলের পক্ষে একটি তালিকা করা হয়েছে। যেখানে এক মাসে তাদের ২০ নেতাকর্মীর নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে গুম, নিখোঁজ বা অপহরণের মতো ঘটনা প্রতিরোধ এবং বিশ্বব্যাপী এ ধরনের অস্থিরতা বন্ধে জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক সনদ তৈরি করেছে। জাতিসংঘের একদল আইনজ্ঞ গবেষণা করে ১৯৪টি দেশের সর্বসম্মতিক্রমে এই সনদ প্রণয়ন করে। বিশ্বের অনেক দেশ গুম থেকে সুরক্ষা এবং রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা আরও বেশি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের এই সনদে স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষর করলেও বাংলাদেশ আজও করেনি। জাতিসংঘের মতে, গুমের ঘটনা খুবই উদ্বেগের বিষয়। জাতিসংঘ সনদের অনুচ্ছেদ ১-এ কোনো ব্যক্তিকেই গুম করা যাবে না এবং অনুচ্ছেদ-১৭ এ কোনো ব্যক্তিকেই গোপন জায়গায় আটক রাখা যাবে না বলে স্পষ্ট আকারে বলা হয়েছে। এ জাতীয় ঘটনাকে বলা হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। আর রাষ্ট্রকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার যুগান্তরকে বলেছেন, নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির তথ্য পেলেই পুলিশ সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তা তদন্ত করে থাকে। তবে অপরাধজনিত কারণে নিখোঁজের ঘটনা ঘটছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার বিষয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক যুগান্তরকে বলেন, সাধারণত বিচারবহির্ভূত হত্যা বা গুম দুটি কারণে হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে, আইনের প্রতি শাসকগোষ্ঠীর শ্রদ্ধা কমে যাওয়া এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে যখন শাসকগোষ্ঠীর জনসমর্থন কমে যায় তখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নির্ভরলশীলতা বাড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গুমের মতো অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল জিয়াউল আহসান যুগান্তরকে বলেছেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট যে, কোনো ভালো মানুষ কখনও গুম হয় না। অপরাধী বা খারপ মানুষ গুমের শিকার হয়। আমরা তদন্ত করে দেখেছি, নিখোঁজ বা গুমের শিকার ব্যক্তিরা প্রতিপক্ষের কারণেই গুম হয়ে থাকে। র‌্যাব এ ধরনের অনেক ঘটনা তদন্ত করে এর রহস্য উদঘাটন করতেও সক্ষম হয়েছে। দেখা গেছে, প্রতিপক্ষের রোষানলে অপরাধী দিয়ে গুম করা হয়েছে, আবার হত্যাও করা হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে জিম্মি করে মুক্তিপণ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের চক্রকে আইনের আওতায় এনে গণমাধ্যমের সামনেও হাজির করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মোঃ মনিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘অপরাধীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম ব্যবহার করে ডিবি ও র‌্যাব সেজে গুম বা অপহরণ করতে পারে। মুক্তিপণ আদায়কারী একাধিক চক্র রাজধানীসহ সারা দেশে সক্রিয় আছে। এদের কাজই হচ্ছে সরকারি বাহিনীর নাম ব্যবহার করা। আর তারা পুলিশ ও র‌্যাবের পোশাক, ওয়াকিটকি ও সাদা মাইক্রোবাস ব্যবহার করে থাকে। গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে কোনো নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য এলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের বেশির ভাগেরই কোনো খোঁজ মেলেনি। দু’একজন ফিরে এলেও কে বা কারা অপহরণ করেছে সে বিষয়ে তাদের পরিবার মুখ খুলতে নারাজ। আবার কোনো কোনো পরিবার গুমের পর স্বজনদের ফিরে পেতে তৎপর হলেও অজ্ঞাত কারণে চুপ থেকে যায়। গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্য যে কয়েকটি গুম বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়েও মানবাধিকার সংস্থাগুলো তদন্ত চালাচ্ছে।
গত ৬ ডিসেম্বর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক আলোর পরশ পত্রিকার সম্পাদক আলতাফ হোসেনকে গুম করা হয়। পারিবারিক তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে আলতাফ হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় নিজ বাসা থেকে ৮ ডিসেম্বর ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তিতুমীর কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জামাল উদ্দিনকে। ৬ ডিসেম্বর গুম হয়েছেন তেজগাঁও কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ঝন্টু। সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া লোকজন ঝন্টুকে আটকের পর সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে। ঝন্টুর মা হাসিনা বেগম বলেছিলেন, ৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় দক্ষিণখানের মধ্য মোল্লারটেকের প্রেমবাগান এলাকা থেকে তার ছেলেকে গুম করা হয়। বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় থানা পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাব কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কেউ ছেলের সন্ধান দিতে পারে না। ঘটনার পর ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণখান থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। গুমের শিকার হয়েছেন তেজগাঁও থানার ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর ইসলাম সুমন ও শাহবাগ থানাধীন রেলওয়ে কলোনির যুবদল নেতা লিটন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল শাখার ছাত্রদল কর্মী জিয়াউর রহমান শাহীনকে ৩ ডিসেম্বর গুম করা হয়। রাজধানীর গুলশানের বারিধারার এলাকা থেকে ৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান রানা, মাজহারুল ইসলাম রাসেল ও আল আমিনকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। ২৭ নভেম্বর বিএনপি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা শাখা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ওরফে হিরু ও লাকসাম পৌর বিএনপি সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে গুম করা হয়। কুমিল্লা থেকে লাকসাম ফেরার পথে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের হরিশ্চর এলাকা থেকে গাড়ি থামিয়ে র‌্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবার দাবি করে। গুমের শিকার হওয়া নীলফামারীর গোলাম রাব্বানী ও আতিকুর রহমানের লাশ পাওয়া যায়। ১৪ ডিসেম্বর সহিংসতার ঘটনার মামলায় তারা আসামি ছিল। তাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনই তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়। একই ঘটনায় মহিদুল নামে আরও একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এপ্রিল মাসে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গুম করা হয় হাফেজ জাকির হোসেনকে। জাকিরের বড় ভাই মতিউর রহমান জানান, কিছু লোক তার ভাইকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে।
এদিকে রাজধানী থেকে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের একটি তালিকা করেছে বিএনপি। ওই তালিকায় ২০ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে সাজেদুল ইসলাম সুমন, আবদুল হালিম, সেলিম রেজা পিন্টু, সম্রাট মোল্লা, খালেদ হোসেন সোহেল, ফরহাদ হোসেন, লিট, তরিকুল ইসলাম ঝন্টু, আসাদুজ্জামান রানা, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আল আমিন, আশিক, জিয়াউর রহমান শাহীন, সোহেল, রানা, তানভীর, মোঃ পারভেজ, মোঃ জসীম ও মোঃ সোহেল ওরফে চাচা সোহেল। বিএনপির দাবি- গুম হওয়া ব্যক্তিরা তাদের দলীয় নেতাকর্মী। মানবাধিকার সংস্থার তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২ সালে ১৭ এপ্রিল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী বনানী এলাকা থেকে গুমের পর দেশী এবং বিদেশী মানবাধিকার সংস্থাগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম আশুলিয়া থেকে ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল গুম হওয়ায় একদিন পর টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তার লাশ পাওয়া যায়। এ হত্যাকাণ্ড দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে গুমের ঘটনা কমে এলেও ইদানীং আবার বেড়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মানবাধিকার কর্মী মোঃ নূর খান এ বিষয়ে যুগান্তরকে বলেন, যে হারে ক্রসফায়ার ও গুমের ঘটনা বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে তা চরম উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, গুম বা নিখোঁজের ঘটনা যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। এ রকম ঘটনা বাড়তে থাকলে তা হবে গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। গুমের ঘটনা সরকার বা বিরোধী দল কারও কাম্য হতে পারে না। 

শেয়ার করুন