কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরী উপজেলার এক তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে জালাল উদ্দিন (২৭) নামের এক যুবককে ৪৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কুড়িগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম মুরশেদ গত রোববার এ রায় দেন।
কুড়িগ্রামের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্রাহাম লিংকন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৯-এর ১ ধারায় ৩২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৯ জুন নাগেশ্বরী পৌর এলাকার এক তরুণীকে তাঁর প্রেমিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বগুড়া শহরে নিয়ে যান নাগেশ্বরী উপজেলার বিদ্যুৎপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিন। এরপর বগুড়া শহরের একটি হোটেলে আটক রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে জালাল ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। এরপর এখানে আটকে রেখে সাত দিন ধরে ধর্ষণ করেন। পরে তরুণীর স্বজনেরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাঁকে হোটেল থেকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জালালসহ তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। অপর দুই আসামি বিয়ের কাজি ও সাক্ষী। পরে জালাল আদালতে ১৬৪ ধারায় অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানির পর অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়ে জালালকে কারাদণ্ড দেন আদালত।