মেয়র আইভীর তিন সমর্থক আটক

0
156
Print Friendly, PDF & Email

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গতকাল সোমবার আটক করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটক ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থক হওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির।
তবে ডিবি পুলিশের দাবি, জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ওরফে ক্যাঙ্গারু পারভেজ অপহরণের মামলায় তিন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটক তিনজনের মধ্যে আছেন যুবলীগের কর্মী আবু সুফিয়ান ও সাখাওয়াত এবং বন্দর উপজেলার কদমরসুল পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কদমরসুল পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে আবু সুফিয়ান, মাহবুবুর রহমান ও সাখাওয়াতের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ভাংতি টাকা না থাকায় জাকির টাকা ভাঙাতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, একটি সাদা মাইক্রোবাসে আসা সাত-আটজন যুবক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে সুফিয়ান ও তাঁর দুই সহযোগীকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় এলাকার লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ও একজন কনস্টেবল ওই যুবকদের সহযোগিতা করায় সবাই ধরে নেন, তাঁরা পুলিশের লোক।
বিকেলে আবু সুফিয়ানের স্ত্রী সানজিদা রহমান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্বামী আবু সুফিয়ানসহ তাঁর সঙ্গী অপর দুজনের জীবন নিয়ে শঙ্কিত।’
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহফুজুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, জহিরুল ইসলাম পারভেজ অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে সুফিয়ানকে এবং অন্য দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির অভিযোগ করেছেন, আটক তিন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমান ও তাঁর ভাই নাসিম ওসমানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় এবং মেয়র আইভীকে সমর্থন করার কারণেই তাঁদের আটক করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির জন্যই এসব করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ক্যাঙ্গারু পারভেজ নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি এবং শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ক্যাঙ্গারু পারভেজকে অপহরণের অভিযোগ এনে তাঁর স্ত্রী সোহানা গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন