একটি শিশুও যেন হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে, সে দিকে সজাগ থাকতে অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তিনি হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনানুষ্ঠানিকভাবে গতকাল শনিবার থেকে দেশজুড়ে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টায় গণভবনে কয়েকটি শিশুকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ এর উদ্বোধন হলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সব বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা নিজের সন্তানকে টিকা দিন। আশপাশের সব শিশু যেন টিকা নেয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিন। সবাই আন্তরিক হলে কেউ বাদ যাবে না। পাশাপাশি হতদরিদ্র পরিবারের শিশুরা যেন কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে বিশেষভাবে নজর দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশভুক্ত করতে নাগরিকদের সুস্থতা জরুরি। সে কারণে আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকে ৫০ শয্যা, ৫০ শয্যা হাসপাতালকে ১০০ শয্যা, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করেছে। ১৯৯৬-২০০১ সাল মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে চার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিল, ১১ হাজার অবকাঠামো নির্মাণ করেছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেগুলো বন্ধ করে দেয়। তিনি আবারও সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হয়। তিনি আশা করেন, হাম-রুবেলা টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা, স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোসহ তার সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।