স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দাবি করেছেন, চিকিৎসার অর্থের অভাবে রানা প্লাজায় আহত নারী শ্রমিক সালমার আত্মহত্যার সঠিক নয়।
সরকারের পক্ষ থেকে সালমাকে ‘পর্যাপ্ত’ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তার আত্মহত্যার ‘প্রকৃত’ কারণ বের করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘জীবন দিয়ে জ্বালা মেটালো রানা প্লাজায় আহত সালমা’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে সালমার চিকিৎসার ব্যয় সম্পর্কে যে তথ্য এসেছে তা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, রানা প্লাজায় আহতদের সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি সার্বিক বিষয় নবম পদাতিক ডিভিশনের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তদারকি করেছেন।
আশরাফ বলেন, সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে সালমার চিকিৎসার জন্য সরকারি ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা থেকে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিল। যা সত্য নয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেই তাকে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ দেয়া হয়েছে এবং চিকিৎসার পরও তিনি যাতে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারেন সেই রূপ ব্যবস্থা করার নিমিত্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। সুতরাং আর্থিক দৈন্যতার কারণে সালমার চিকিৎসায় ব্যাঘাত হয়েছে বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা মনগড়া ও সঠিক নয়।
আত্মহত্যার ‘প্রকৃত’ কারণ অনুসন্ধানকে ব্যাহত করতে সালমার চিকিৎসার অভাব ও আর্থিক অনটনের কথা বলা হয়েছে বলে মনে করেন সৈয়দ আশরাফ। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার তুরাগ থানার বামনার টেক এলাকার একটি বাসা থেকে সালমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার স্বামী বাবু বলেন, রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে সালমা মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। ওই ব্যথা সহ্য করতে না পারায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
গত বছরের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বহুতল ভবনটি ধসে পড়ার দুই-তিনদিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে সালমাকে উদ্ধার করা হয়। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হয়।
সালমার স্বামী বাবু সাংবাদিকদের বলেন, তার স্ত্রী আহত হওয়ায় সরকারের তরফ থেকে এ পর্যন্ত তারা ৬০ হাজার টাকা সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু তার ওই বক্তব্য নাকচ করে আশরাফ বলেন, সালমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে খোঁজ নিলেই তা জানা সম্ভব।