আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। আপনারা জনগণের টাকা খেয়ে নিজেরা ধনী হয়েছেন, আর সাধারণ জনগণকে বানিয়েছেন গরীব। আর আপনাদের এই চরিত্র পরিবর্তন হবে না। কারণ অপনাদের রক্তের সাথে এই চরিত্র মিশে রয়েছে।
শনিবার রাতে চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্র্টির যোগদান’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারা চলন্ত বাসে গান পাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বেগম জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে। তাদের নির্দেশে যৌথবাহিনী ও আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারা দেশে মানুষ হত্যা করছে। অস্ত্রের মুখে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রেখে সরকার পতনের আন্দোলন দমানোর অপচেষ্টা করছে।
‘আওয়ামী লীগ সীমান্তের ওপারের মুক্তিযোদ্ধা’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলে। কিন্তু তারা হল সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা। একমাত্র বিএনপি মুক্তিযোদ্ধারাই রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। তাই মুক্তিযুদ্ধের কথা একমাত্র বিএনপির মুখেই মানায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করেছে। তার প্রমাণ হচ্ছে, জনগণ ভোটকেন্দ্র যায়নি। ভোটকেন্দ্র মানুষ ছিল না, কুকুর বিড়াল ছিল। তাই এটা নির্বাচন ছিল না, সেটা ছিল তামাশা মাত্র।
১৮ দলীয় জোটে জাতীয় পার্টির যোগদান প্রসঙ্গে বিএনপি নেত্রী বলেন, এখন আর আমরা ১৮ দল নই, এখন ১৯ দল। আজ এই দিনে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল সৃষ্টি করেছিল। আর আমরা আজ ১৯ দলীয় জোট গঠন করলাম বাকশাল পতনের লক্ষ্যে ।
১৯ সংখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯ সংখ্যাটা হচ্ছে লাকী নাম্বার। ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এর প্রমাণ আপনারা অনতিবিলম্বে দেখতে পারবেন ।
গত ৫ বছরে বাংলাদেশের কোনো বিনিয়োগ নেই উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, গত ৫ বছরে বাংলাদেশে কোনো বিনিয়োগ হয়নি, এখনও হচ্ছে না। এরা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, লে.জে (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা আর এ গণি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।