অশেষ শ্রদ্ধা আর ভক্তি নিয়ে মহান আল্লাহপাকের দরবারে দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে হেদায়েত, রহমত ও শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে আজ রোববার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। আখেরি মোনাজাতকালে মহান আল্লাহপাকের কাছে অশেষ রহমত কামনায় আবেগাপ্লুত লাখো মুসল্লির কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘আমিন আমিন’ ধ্বনি।
লাখো মুসল্লির এই প্রার্থনার ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে টঙ্গীর তুরাগতীরের মূল ইজতেমা মাঠের চারপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মাঠে, মহাসড়কে, ঘরবাড়ির ছাদে, তুরাগের দুই তীরে, কিনারে থাকা নৌকায়, পথে আটকে থাকা বাসে, ট্রাকে, ব্যক্তিগত গাড়িতে বসে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তোলেন। এ সময় গোটা ইজতেমা ময়দান এক পুণ্যময় ভূমিতে পরিণত হয়। নিজ নিজ গুনাহ মাফ ও আত্মশুদ্ধি লাভের প্রত্যাশায় মুসল্লিরা অশ্রুসিক্ত হয়ে মহান আল্লাহর দরবারে পানাহ চান।
দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় বেলা একটা ১৬ মিনিটে। দিল্লির মাওলানা জোবায়েরুল হাসান আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে হেদায়েতি বয়ান হয়।
মোনাজাত শেষ হওয়ার পর শুরু হয় বাড়ি ফেরার তাড়া। যে যেভাবে পারছেন, সেভাবেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। যানবাহন না পাওয়ায় অনেক মুসল্লিকে হেঁটেই রওনা দিতে দেখা গেছে।
টঙ্গীর রেলস্টেশনের কর্মকর্তা মো. হালিমুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আখাউড়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রেলপথে ২৯টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।